হাবড়ায় মদ্যপদের হাতে আক্রান্ত বাসিন্দারা ,এলাকায ছড়িয়ে ছিটিয়ে মদের গ্লাস বোতল। —নিজস্ব চিত্র।
এলাকায় প্রকাশ্যে মদ্যপানের প্রতিবাদ করায় আক্রান্ত হলেন হাবড়ার ১ নম্বর ওয়ার্ডের আয়রার সাত বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে মহিলারাও আছেন। সোমবার রাতের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। বেআইনি মদের কারবারের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলে। কারবারিদের গ্রেফতার করা হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বেশ কিছু দিন ধরে শিরীষতলা মোড় সংলগ্ন এলাকায় কোনও দিন পুকুর পাড়ে, কোনও দিন পরিত্যক্ত বাড়িতে, জঙ্গলে বা চাতালে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মদের আসর বসছে। মহিলারা নির্ভয়ে যাতায়াত করতে পারছেন না। আতঙ্কে দিন কাটাতে হচ্ছে। এলাকায় বহিরাগতদের আনাগোনা বেড়েছে। বেড়েছেবাইকের দাপটও। রাতে মদ্যপদের চিৎকার-চেঁচামেচিতে এলাকাবাসীর ঘুম ভেঙে যায়। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটছে। তিতিবিরক্ত বাসিন্দারা সোমবার রাতে এ সবের প্রতিবাদ করেন। তার জেরেই তিন মত্ত যুবক বাসিন্দাদের এলোপাথাড়ি মারধর করে বলে অভিযোগ। কয়েকজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে হয়েছে। এর আগেও এলাকাবাসী মদের ঠেক নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন। সেই আক্রোশেই হামলা বলে অভিযোগ।
আনাজ ব্যবসায়ী প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা কয়েকজন মিলে আগুন পোহাচ্ছিলাম। মদ খেয়ে তিন যুবক গালিগালাজ করছিল। আমি তাদের বাড়ি চলে যেতে বলি। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের মারধর শুরু করে। ফোন করে আরও কয়েকজন বহিরাগত যুবকদের তারা ডেকে আনে। সকলকে মিলে আমাদের এলোপাথাড়ি মারে। আমার স্ত্রী ঠেকাতে এলে তাঁকেও ঘুষি মারা হয়।” কিশোর সিংহ নামে আর এক জন বলেন, ‘‘মত্ত যুবকদের আচরণের প্রতিবাদ করায় আমাকে ও আমার শাশুড়িকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়েছে। ৭ জন আহত হয়েছেন।”
হাবড়ার পুরপ্রধান নারায়ণ সাহা বলেন, “আয়রা এলাকায় মদের ঠেকের কথা শুনেছি। স্থানীয় বাসিন্দারা সমস্যায় পড়ছেন। পুলিশ প্রশাসন সক্রিয় আছে। পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy