Advertisement
০৩ মে ২০২৪
Murder

Probe: জগদ্দলে খুনের তদন্তে বিহারে তল্লাশি

তদন্তকারীরা জানান, অবিবাহিত নকুলের নির্দিষ্ট রোজগার ছিল না। মায়ের সঙ্গে পাওয়ার হাউজ় মোড়ে একটি ঘরে থাকতেন তিনি।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ ০৬:২১
Share: Save:

জগদ্দলের বাসিন্দা নকুল যাদবকে (৩৫) খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের খোঁজে বিহারের আরা, ছাপরা-সহ বেশ কিছু জেলায় তল্লাশি শুরু করল পুলিশ। এই ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ধৃত কানাই মিশ্রকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, নকুলকে শ্বাসরোধ করে খুনের পরে পেট কেটে মাটি ও ইটের টুকরো ভরে দেহটি গঙ্গায় ফেলা হয়েছিল। কানাইয়ের বাকি সঙ্গীদের বিষয়েও জানতে পারে পুলিশ। তাদের একটি দল বিহারে রওনা দেয়।

তদন্তকারীরা জানান, অবিবাহিত নকুলের নির্দিষ্ট রোজগার ছিল না। মায়ের সঙ্গে পাওয়ার হাউজ় মোড়ে একটি ঘরে থাকতেন তিনি। বুধবার সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ঘরে তালা ঝুলছে। সরস্বতী দেবী নামে এলাকার এক দোকানি বললেন, ‘‘বছর পাঁচেক আগে দুর্ঘটনায় নকুলের ভাই মারা যায়। তার পরেই ওর মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। গত ১৬ সেপ্টেম্বর মায়ের জন্য কিছু জিনিস নিতে এসেছিল নকুল। তার পরে আর দেখা যায়নি ওকে। ওর সঙ্গে এলাকার আরও কয়েক জন গায়েব হয়ে যায়।’’ এই গায়েব হওয়ার সূত্রেই কানাইকে জেরা করে এলাকার এক বিবাহিতা মহিলার সঙ্গে নকুলের সম্পর্কের বিষয়ে কিছু তথ্য পায় পুলিশ।

ব্যারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রের খবর, ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য নকুল ও সেই মহিলার মোবাইলের টেক্সট মেসেজ দেখা হচ্ছে। তবে ধৃতকে জেরা করে পুলিশের অনুমান, মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বিবাদের জেরেই তাঁর স্বামী ও কানাই-সহ কয়েক জন নকুলকে ‘শায়েস্তা’ করার পরিকল্পনা করেছিল। জগদ্দলে গঙ্গার ধারে নেশার আসরে নকুলকে ডেকে সেখানে শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করার পরে পেট কেটে মাটি ও ইটের টুকরো ভরে গঙ্গায় দেহটি ফেলা হয়, যাতে তা আর ভেসে না ওঠে।

যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) অজয় ঠাকুর বলেন, ‘‘আশা করছি, দ্রুত কানাইয়ের বাকি সঙ্গীরা ধরা পড়বে। ওদের কেউ কেউ আগেই অপরাধ জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Murder probe
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE