Advertisement
E-Paper

দূরের স্কুলে যেতে বাধ্য হচ্ছে এলাকার শিশুরা

স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর তিরিশ আগে এলাকার শিশুদের পড়াশোনার জন্য স্থানীয় বাসিন্দা মাফুজার রহমান প্রায় ছ’কাঠা জমি দান করেন।

নির্মল বসু 

শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৮:৪৯
Abandond school building at Basirhat

বন্ধ পড়ে রয়েছে দোতলা স্কুল ভবন। নিজস্ব চিত্র

শিক্ষকের সংখ্যা কমতে কমতে শূন্যে নেমে আসায় বন্ধ হয়ে গেল একটি শিশুশিক্ষা কেন্দ্র। বর্তমানে দিনের বেলায় স্কুল চত্বরে গরু-ছাগল ঘুরে বেড়ায়। রাত হলে সেখানে দুষ্কৃতীদের আড্ডা বসে। শুধু তাই নয়, যাঁর দান করা জমিতে এই স্কুল ভবন গড়ে উঠেছিল, তাঁর পরিবারের সদস্যেরা বর্তমানে ‌জমি ফেরত চাইছেন। এমনই অবস্থা বাদুড়িয়ার আরশুলা শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর তিরিশ আগে এলাকার শিশুদের পড়াশোনার জন্য স্থানীয় বাসিন্দা মাফুজার রহমান প্রায় ছ’কাঠা জমি দান করেন। সেখানে গড়ে ওঠে স্কুলবাড়ি। পরে স্কুলটি একতলা থেকে দোতলা হয়। স্কুলটিতে প্রাথমিক ভাবে প্রায় ৫০ জন পড়ুয়া ছিল। তিনজন শিক্ষিকা ছিলেন। কিন্তু অবসরের সময় হওয়ায় শিক্ষিকারা একে একে চলে যেতে শুরু করেন। প্রায় পাঁচ মাস আগে স্কুলের একমাত্র শিক্ষিকা অবসর নেন। কিন্তু এতবছরে নতুন কোনও শিক্ষিকা নিয়োগ না হওয়ায় বন্ধ হয়ে গেল স্কুলটি। বাধ্য হয়ে অভিভাবকেরা সন্তানদের দূরের স্কুলে ভর্তি করেছেন।

মাফুজার রহমানের নাতি রমজান আলি বলেন, ‘‘গ্রামে স্কুল করার জন্য দাদু ছ’কাঠা জমি দান করেছিলেন। এখন পাঁচিল ঘেরা স্কুলটি তালা বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। প্রশাসনে বার বার বিষয়টি জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। তাই আমারা জমি ফেরত চাইছি।’’

স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মঞ্জু রায় বলেন, ‘‘আমরা তিন জন শিক্ষিকা মিলে বাচ্চাদের পড়াতাম। এখন সকলে অবসর নিয়েছেন। স্কুলটি যাতে চালু থাকে সে জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু সফল হইনি।’’

বাদুড়িয়ার বাসিন্দা তথা সিপিএম নেতা অনিমেষ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বাম আমলে তৈরি স্কুলটি ইচ্ছে করে বর্তমান নেতারা বন্ধ করে দিলেন। এতদিনেও কোনও শিক্ষক নিয়োগ করা হল না। এতে এলাকার শিশুদের ক্ষতি হল।’’

বাদুড়িয়া ব্লকের সভাপতি তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা কুহেলিকা পারভিন বলেন, ‘‘সব শিক্ষিকারা অবসর নেওয়ায় স্কুলটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে আমরা চাই স্কুল খুলুক। সংশ্লিষ্ট দফতরে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’’

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় বিধায়ক কাজি আব্দুর রহিম দিলু বলেন, ‘‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। স্কুল খোলার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে কথা বলব।’’

Basirhat Primary School
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy