এ ভাবেই প্রত্যন্ত গ্রামে পৌঁছচ্ছে বিদ্যুৎ। ছবি: সামসুল হুদা
২০২০ সালের মধ্যে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে প্রায় দু’লক্ষ নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা।
গত ৮ মাসে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা সুন্দরবনের বিভিন্ন দ্বীপগুলিতে প্রায় এক লক্ষ তিরিশ হাজার নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে। এই নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের ফলে একদিকে যেমন বিদ্যুৎ পরিষেবার উন্নতি হবে তেমনি নতুন সাব স্টেশনের জন্য অনেকটাই লো ভোল্টেজ সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করছে বিদ্যুৎ সংস্থা। গত আগস্ট মাস থেকে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার রিজিওন্যাল ম্যানেজার বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘২০২০ সালের মধ্যে প্রায় দু’লক্ষ নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছি। ইতিমধ্যে আমরা ১ লক্ষ ৩০ হাজার বিদ্যুতের নতুন সংযোগ দিয়েছি। দফতরের বিভিন্ন কর্মীদের প্রচেষ্টায় এই কাজ সম্ভব হয়েছে। আগামী দিনে জেলাতে বিদ্যুতের উন্নতির জন্য আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’’
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিং, জীবনতলা, বাসন্তী, গোসাবা, ডায়মন্ড হারবার, আমতলা, বারুইপুর-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ চুরি ও হুকিং সব থেকে বড় সমস্যা। এর পাশাপাশি বিদ্যুতের লো ভোল্টেজ অন্যতম সমস্যা। এ বার এই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হল বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। গড়িয়ার একটি অংশ বাদ দিয়ে জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ও বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে থাকে ওই সংস্থা। লো ভোল্টেজ ও ব্রেকডাউন কমানোর জন্য নতুন ৩৩ হাজার কেভি চারটি পাওয়ার স্টেশন, ১১ হাজার কেভির ৩০টি নতুন লাইন বসানো হয়েছে। ১৩৬টি ট্রান্সফর্মার ও ১৫০৭২টি ডিস্ট্রিবিউশন ট্রান্সফর্মারের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। হুকিং বা বিদ্যুৎ চুরি রুখতে ৪৪০ ভোল্টের বিদ্যুৎ সরবরাহের লাইনে ন্যাকেড তারের পরিবর্তে এ বার কভার তার লাগানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর ফলে যত্রতত্র বিদ্যুতের লাইনে হুকিং বন্ধ করা সম্ভব হবে তেমনি বিদ্যুতের ভোল্টেজ সমস্যাও অনেকটা কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। আগে সামান্য ঝড়-বৃষ্টিতে দীর্ঘক্ষণ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হত। এখন মোটা কভার তার লাগানোর ফলে বিপদ এড়ানো যাবে বলে মনে করছে বিদ্যুৎ সংস্থার কর্মকর্তারা।
তা ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের লাইনগুলি ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে। বারুইপুরের টংতলা, জয়নগরের মজিলপুর, সোনারপুরের রাজপুর, ডায়মন্ড হারবারের সরিষা ও পৈলানে চলছে বিদ্যুতের পাওয়ার সাব স্টেশন তৈরির কাজ। এর ফলে জেলার ৪৮টি বিদ্যুতের সাব স্টেশন থেকে ক্যানিং মহকুমার পুঁইজালি, কুমিরমারি, মোল্লাখালি, পাথরপ্রতিমার বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে গ্রিডের বিদ্যুৎ পৌঁছে যাচ্ছে।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy