Advertisement
E-Paper

মহিলাকে ভয় দেখিয়ে গয়না নিয়ে পালাল দুই কেপমার

ফের একই কায়দায় শহরে কেপমারি! এ বারও এক মহিলাকে বোকা বানিয়ে নির্জন জায়গার ভয় দেখিয়ে সোনার গয়না নিয়ে পালাল দুই যুবক। মাস কয়েক আগে কলকাতা পুলিশের হাতেই ধরা পড়ে এমন এক কেপমারের দল। তারা দক্ষিণ ভারত থেকে এসে কেপমারি করছিল। শনিবার সকালে ডায়মন্ড হারবার রোডে ফের কেপমারির পরে প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি ফের কেপমারের দল ফিরে এল শহরে?

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:০৫

ফের একই কায়দায় শহরে কেপমারি! এ বারও এক মহিলাকে বোকা বানিয়ে নির্জন জায়গার ভয় দেখিয়ে সোনার গয়না নিয়ে পালাল দুই যুবক। মাস কয়েক আগে কলকাতা পুলিশের হাতেই ধরা পড়ে এমন এক কেপমারের দল। তারা দক্ষিণ ভারত থেকে এসে কেপমারি করছিল। শনিবার সকালে ডায়মন্ড হারবার রোডে ফের কেপমারির পরে প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি ফের কেপমারের দল ফিরে এল শহরে?

পুলিশ জানায়, ঘাটালের বাসিন্দা মঞ্জু দাস এ দিন চিকিৎসার জন্য শহরে আসেন। সঙ্গে ছিলেন স্বামী অশোক দাস ও আট বছরের ছেলে। পৌনে ১০টা নাগাদ তাঁরা ডায়মন্ড হারবার রোড দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। মঞ্জুদেবীর কিছুটা আগে হাঁটছিলেন অশোকবাবু। তখনই ওই যুবকদের দেখতে পেয়ে চিকিৎসকের চেম্বারের ঠিকানা জানতে চান মঞ্জুদেবী।

অভিযোগ, যুবকেরা মঞ্জুদেবীকে বলে জায়গাটি নিরাপদ নয়। তিনি যেন গয়নাগুলি ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখেন। রুমালে গয়না বাঁধতে গেলে যুবকেরা বাধা দিয়ে বলে, “আপনার ব্যাগে গয়না ঢুকিয়ে রাখুন।” মঞ্জুদেবী ব্যাগে গয়না ভরতে গেলে এক যুবক তাঁকে সাহায্য করে। যুবকেরা চলে গেলে মঞ্জুদেবী ব্যাগ খুলে দেখেন একটি গয়নাও নেই।

বিকেলে বেহালা থানায় অভিযোগ করেন মঞ্জুদেবী। চিকিৎসকের চেম্বার থেকে বেহালায় আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। যদিও সংবাদমাধ্যমের কাছে মঞ্জুদেবী বলেন, “গয়না খুলতে না চাইলে যুবকেরা ছুরি বার করে ভয় দেখায়, ছেলেকে মারবে বলে। তখন গয়না ব্যাগে ভরতে শুরু করি। রাস্তায় তেমন কেউ ছিল না।” তবে পুলিশ ছুরি দেখানোর বিষয়টি স্বীকার করেনি।

তবে ঘটনার সময়ে মহিলার স্বামী কিছু বললেন না কেন বা কোনও পথচারী কিছু জানলেন না কেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পুলিশকর্তারা। তাঁদের দাবি, সকালে ঘটনা ঘটলেও মহিলা বিকেলে কেন অভিযোগ করলেন তা স্পষ্ট নয়। কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (বেহালা ডিভিশন) রশিদমুনির খান বলেন, “মহিলার দেওয়া বর্ণনা অনুযায়ী দুষ্কৃতীদের ছবি আঁকানো হচ্ছে।” রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়েও। ডায়মন্ড হারবার রোডের মতো ব্যস্ত এলাকায় এই ধরনের ঘটনার জেরে পুলিশি টহলদারিও ফের প্রশ্নের মুখে।

snatching diamond harbour road manju das southbengal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy