E-Paper

মামলার গুঁতোয় নড়ে বসল ফাইল

আদালতের খবর, পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের বাসিন্দা মঞ্জুর বাবা পেশায় প্রাথমিক শিক্ষক ছিলেন। তিনি ১৯৮৯ সালে চাকরি থেকে অবসর নেন। মঞ্জুর বিয়ে হলেও তিনি স্বামীর সঙ্গে মতপার্থক্যের জন্য বাবার সঙ্গেই থাকতেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০২৫ ০৭:৫৭

—প্রতীকী চিত্র।

পারিবারিক পেনশনের জন্য সরকারি দফতরে আবেদন জমা করেছিলেন এক স্বামীহারা মহিলা। পাঁচ বছরেও সেই ফাইল গড়িয়ে পেনশন চালু হয়নি! শেষমেশ হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টকে। মঞ্জু ভৌমিক নামে ওই মহিলার মামলায় সম্প্রতি বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের নির্দেশ, আদালতের রায়দানের চার সপ্তাহের মধ্যে মামলাকারীর পেনশন চালুর নির্দেশ (পেনশন পেমেন্ট অর্ডার) জারি করতে পেনশন সংক্রান্ত দফতরকে। প্রসঙ্গত, উপার্জনহীন, স্বামীহারা কন্যা হিসেবে বাবার পারিবারিক পেনশন পাওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন মঞ্জু ভৌমিক।

আদালতের খবর, পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের বাসিন্দা মঞ্জুর বাবা পেশায় প্রাথমিক শিক্ষক ছিলেন। তিনি ১৯৮৯ সালে চাকরি থেকে অবসর নেন। মঞ্জুর বিয়ে হলেও তিনি স্বামীর সঙ্গে মতপার্থক্যের জন্য বাবার সঙ্গেই থাকতেন। ২০০২ সালে মঞ্জুর বাবা মারা যান। তার আগেই মঞ্জুর মা মারা গিয়েছিলেন। সে সময়ে মঞ্জু আবেদন করেননি। স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি বাবার পেনশন পাওয়ার আবেদন জানান। ২০২০ সালে তিনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শিক্ষা দফতরে সব নথিপত্র জমা দেন। তারপর থেকে আর পেনশন চালু হয়নি। চলতি বছরেই হাই কোর্টে মামলা করেন মঞ্জু।

মঞ্জুর আইনজীবী ইনা ভট্টাচার্য কোর্টে জানান, উত্তরাধিকারের শংসাপত্র ও প্রয়োজনীয় নথিপত্র জেলা আধিকারিকের কাছে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু পাঁচ বছরেও পেনশন মেলেনি। রাজ্য সরকারের কৌঁসুলি শুক্লা দাস চন্দ্র কোর্টে একটি নথি পেশ করেন। চলতি বছরের ১৭ জুনের সেই মেমো অনুযায়ী, জেলা স্কুল পরিদর্শক অবশেষে সেই ফাইন পেনশন বিভাগে পাঠিয়েছেন। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, যে হেতু ফাইল নড়ে পেনশন বিভাগে গিয়েছে, তাই পেনশন বিভাগকে চার সপ্তাহের মধ্যে পেনশন চালুকরতে হবে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Pension Calcutta High Court

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy