কংগ্রেসের সংখ্যালঘু কনভেনশন। কলকাতায় রামলীলা ময়দানে। নিজস্ব চিত্র।
সংখ্যালঘু কনভেনশনের মঞ্চ থেকে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করলেন লোকসভার বিরোধী দলের নেতা ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তাঁর বক্তব্য, রামের নামে দেশে যে ‘রাবণের তাণ্ডব’ চলছে, তাকে প্রতিহত করতে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে একজোট হতে হবে। সেই সঙ্গেই বাংলায় বিজেপিকে জমি তৈরি করে দেওয়ার অভিযোগে তৃণমূলকেও এক হাত নিয়েছেন তিনি।
প্রদেশ কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের উদ্যোগে মৌলালির কাছে রামলীলা ময়দানে বুধবার কনভেনশনে অধীরবাবু বলেন, ‘‘বিজেপি মুখে রাম রাজত্বের কথা বলে। গাঁধীজি বলতেন রাম রাজ্যের কথা, যেখানে ন্যায় ও সুবিচার থাকবে। রামের এই দেশে এখন রাবণের তাণ্ডব শুরু করেছে বিজেপি! সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ বিপন্ন তো বটেই। কোনও মানুষই শান্তিতে নেই।’’ সর্ব-ধর্ম সমন্বয় ও সম্প্রীতির ঐতিহ্য বজায় রেখেই ধর্মনিরপেক্ষ ঐক্য গড়ে তুলে পরিস্থিতি বদলের ডাক দিয়েছেন অধীরবাবু। কনভেনশনে ছিলেন এআইসিসি-র সংখ্যালঘু শাখার চেয়ারম্যান নাদিম জাভেদ, দিল্লির কংগ্রেস নেত্রী অলকা লাম্বা, প্রাক্তন বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায়, বিধায়ক অসিত মিত্র, মিল্টন রশিদ প্রমুখ।
সর্বভারতীয় প্রেক্ষাপটে গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণের পাশাপাশি এই রাজ্যের পরিস্থিতি উল্লেখ করে প্রদেশ সভাপতির বক্তব্য, ‘‘বাংলায় সঙ্গে আগে বিজেপির পরিচয় ছিল না। এ রাজ্যে বিজেপিকে ডেকে এনে, তাদের সঙ্গে জোট করে জমি তৈরি করে দিয়েছিল তৃণমূল। ক্ষমতায় আসার পরে বাম ও কংগ্রেসকে ক্রমাগত ভেঙে, বিধায়ক কিনে, তাদের পুরসভা-পঞ্চায়েত দখল করে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে দুর্বল করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরা তখনই বলেছিলাম, এর ফলে বিজেপির সুবিধা হবে। এখন বিষ ফল দেখা যাচ্ছে!’’ তৃণমূল সরকারের ইমাম ভাতা দেওয়ার মতো কিছু সিদ্ধান্ত বিজেপির মেরুকরণের রাজনীতিরই পরিপূরক হয়েছে বলে ফের মন্তব্য করেছেন অধীরবাবু।
রামলীলা ময়দানে কনভেনশন-স্থলের বাইরে এ দিন বিক্ষোভ দেখান বিভিন্ন এলাকার কিছু সংখ্যালঘু কংগ্রেস কর্মী। তাঁদের অভিযোগ, প্রদেশ সংখ্যালঘু সেলের বর্তমান চেয়ারম্যান শামিম আখতার ‘অযোগ্য’। প্রদেশ নেতৃত্বের অবশ্য বক্তব্য, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দলের সম্পর্ক নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy