ভূষণ সিংহ। — ফাইল চিত্র
দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোচবিহারের সভায় মূলমঞ্চে জায়গা পাননি স্থানীয় পুরপ্রশাসক ভূষণ সিংহ। কিন্তু বুধবারের সেই ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা কাটলেও ‘রাগ’ কমছে না ভূষণের। যাঁকে ঘিরে তাঁর ক্ষোভ সেই কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়কে ‘বয়কট’ করার হুমকিও দিয়েছেন ভূষণ। পার্থ যে ভাবে দল চালাচ্ছেন তাতে বহু কর্মী সমর্থক আগামী দিনে দল থেকে সরে যাবেন বলেও মত ভূষণের।
বুধবার কোচবিহারে মমতার জনসভা ছিল। ভূষণের অভিযোগ, মূল মঞ্চে অর্থাৎ যেখান থেকে মমতা ভাষণ দিয়েছিলেন, সেখানে তাঁর ওঠার ‘অধিকার’ ছিল না। কারণ, প্রতিটি মঞ্চে কারা থাকবেন, সেই তালিকা দায়িত্বে ছিলেন পার্থপ্রতিম। ভূষণের দাবি, ওই দিন মূল মঞ্চে উঠতে গেলে তাঁকে নিরাপত্তাকর্মীরা আটকে দেন। তালিকায় তাঁর নাম নেই বলে মূল মঞ্চের পাশের একটি মঞ্চে যেতে বলা হয়। আর তা নিয়েই তেতে উঠেছেন ভূষণ। জল এতদূর গড়িয়েছে যে দলনেত্রী ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার বার্তা দিলেও ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোচবিহারে ভূষণ এবং পার্থপ্রতিমের মধ্যে ফাটল চওড়া হচ্ছে।
ভূষণের অভিযোগ, ‘‘কোচবিহারের সংগঠনের জন্য জেলা সভাপতিকে সমস্ত সহযোগিতা করলেও তিনি তার পরিবর্তে তাঁকে উপযুক্ত সম্মান দেখান না।’’ ভবিষ্যতে কোচবিহার শহরে পার্থপ্রতিমের কোনও অনুষ্ঠানেই ছাড়পত্র দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভূষণ। তাঁর ক্ষোভের পারদ এতটাই চড়েছে যে জেলা সভাপতিকে শহর ছাড়া করার হুঙ্কারও দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পুর-পদ ছাড়তেই পার্টি অফিসে হামলা, তাই দলও ছাড়লেন জিতেন্দ্র
আরও পড়ুন: ‘মাথা ঝোঁকাবে না বাংলা’, আইপিএস অফিসার বদলি প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী
পরিস্থিতি সামাল দিতে বুধবারই ময়দানে নেমেছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। গত কাল ফোন করে ভূষণকে বোঝানোর চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু তাতে যে কাজ হয়নি তা পুরপ্রশাসকের এ দিনের বক্তব্যেই স্পষ্ট। ভূষণ আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেন, ‘‘আমি তৃণমূলে আছি। যদি অন্য কোনও দল আমাকে প্রস্তাব দেয় তা হলে তা ভেবে দেখব।’’ পার্থপ্রতিমের ব্যাপারে রাজ্য নেতৃত্বের কাছেও নালিশ জানাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভূষণ। এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয় তৃণমূলের কোচবিহার জেলা কমিটির সদস্য তথা জেলার সহ-সম্পাদক আব্দুল জলিল আহমেদের কাছে। তবে তিনি এ নিয়ে মুখ খোলেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy