মহম্মদ তৌফিক
টিটাগড়ের বাসিন্দা, কলেজ ছাত্র মহম্মদ তৌফিককে খুনের ঘটনায় তৃতীয় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম আমিন (দানিশ) আহমেদ। পুলিশ জানিয়েছে, টিটাগড় এলাকা থেকেই রবিবার দুপুরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এখনও পর্যন্ত খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধার হয়নি। কোথা থেকে তারা অস্ত্র পেল, তা-ও এখনও পর্যন্ত জানতে পারেনি পুলিশ।
ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (সেন্ট্রাল) আমনদীপ বলেন, “ঘটনার পর থেকেই আমরা তিন অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছিলাম। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দুই অভিযুক্ত আরিফ ইকবাল ও সুরজ আলিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। রবিবার দানিশকে গ্রেফতার করা হয়।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এক পরিচিতের মাধ্যমে ভিন্ রাজ্যে পালানোর ছক কষেছিল বছর কুড়ির দানিশ। ধৃতেরা কেন তৌফিককে খুন করল, তা নিয়ে এখনও পুলিশের কাছে মুখ খোলেনি তারা।
শুক্রবার রাতে টিটাগড় উড়নপাড়ার বাসিন্দা বছর একুশের তৌফিককে তাঁর বাড়ির সামনে গুলি করে খুন করা হয়। অভিযোগ, আরিফ-সহ অন্য দুষ্কৃতীরা তৌফিকের বাড়ির কাছে রাস্তার মোড়ে প্রকাশ্যে মদের আসর বসাতো। তারই প্রতিবাদ করেছিলেন তৌফিক। তখনই আরিফের কাছ থেকে প্রাণনাশের হুমকি এসেছিল। মাঝে এক বার তৌফিককে মারধরও করেছিল আরিফ ও তার দলবল। তৌফিকের অভিযোগের ভিত্তিতে সেই সময়ে পুলিশ তাদের গ্রেফতারও করেছিল। অভিযোগ, জামিনে ছাড়া পাওয়ার পরেও আরিফদের দৌরাত্ম্য বন্ধ হয়নি।
প্রশ্ন উঠছে, তৌফিককে খুন করার উদ্দেশ্যেই কি আগ্নেয়াস্ত্র যোগাড় করেছিল ধৃতেরা? নাকি অস্ত্র তাদের সঙ্গেই থাকত? আমনদীপ বলেন, “ধৃতেরা জানিয়েছে, আগ্নেয়াস্ত্র তাদের সঙ্গেই ছিল। শুক্রবার রাতে গোলমালের জেরেই তৌফিককে গুলি করে তারা। পুরনো শত্রুতার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছে ধৃত তিন জন। যদিও আসল ঘটনা জানতে তাদের আরও জেরা করা হবে।” পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতদের সকলেরই বয়স বছর কুড়ি। তবে কেউই ছাত্র নয়। এক জন একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy