ব্যবসার ব্যাপারে বাবা যা বলতেন, তা-ই করতেন বলে দাবি অনুব্রত-কন্যার। — ফাইল ছবি।
পেশায় সাধারণ স্কুলশিক্ষিকা। অথচ তাঁর নামে অ্যাকাউন্টে বিপুল অর্থ! কোথা থেকে এল সঙ্গতিহীন টাকা? বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত সুকন্যা মণ্ডল ইডির এই প্রশ্নের জবাবে যা বলেছেন, তার সঙ্গে বিস্তর ফারাক খুঁজে পাচ্ছে তদন্তকারী সংস্থা ইডি। বৃহস্পতিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে ইডির তৃতীয় অতিরিক্ত চার্জশিটে উঠে এসেছে সেই অসঙ্গতির বিবরণও।
ইডির দাবি, সুকন্যা জেরায় জানিয়েছেন, তিনি একটি স্কুলে শিক্ষিকার চাকরি করেন। সেই বাবদ প্রাপ্ত বেতনই তাঁর আয়ের একমাত্র উৎস। কিন্তু তদন্তে উঠে এসেছে আরও একাধিক ফার্ম এবং সংস্থায় শেয়ারহোল্ডার হিসাবে নাম রয়েছে অনুব্রতের কন্যার। ইডির এই প্রশ্নের জবাবে সুকন্যা দাবি করেছিলেন, তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। সবই জানেন তাঁর বাবা, অনুব্রত মণ্ডল।
পাশাপাশি ইডির চার্জশিটে সুকন্যাকে উদ্ধৃত করে আরও দাবি করা হয়েছে যে, তিনি বাবার কথাতেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার ফর্ম-সহ বিভিন্ন নথিপত্রে সই করতেন। মেসার্স এএনএম অ্যাগ্রোকেম ফুডস প্রাইভেট লিমিটেড নামে সংস্থার মালিক হিসাবে নাম রয়েছে সুকন্যার। সুকন্যা তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে কিছুই জানা নেই তাঁর, বাবা জানেন। এ ছাড়া ভোলেবোম রাইস মিল নিয়েও কিছু জানেন না বলে ইডিকে জানিয়েছেন অনুব্রত-কন্যা। তাঁর জানা নেই, রাইস মিলের ডিরেক্টর এবং ম্যানেজার কে। তবে ইডিকে সুকন্যা জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তাঁর বাবা কিছু জানলেও জানতে পারেন।
ইডির তদন্তে উঠে এসেছে, মণ্ডল বাড়ির পরিচারক বিদ্যুৎবরণ গায়েন আয়কর রিটার্ন দাখিল করার সময় যে ইমেল আইডি দিয়েছিলেন তার নাম সুকন্যার ডাকনামের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। এই প্রশ্নের জবাবে সুকন্যা ইডির তদন্তরকারীদের জানিয়েছেন, ওই নামে তাঁর কোনও ইমেল আইডি নেই। যদিও বিদ্যুতের দেওয়া ইমেল আইডির নাম রুবাই দিয়ে। ঘটনাচক্রে, যেটা সুকন্যারও ডাকনাম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy