‘আজাদ হিন্দ মঞ্চে’র মিছিল অশোক-শ্মরণে, অশোক ঘোষের শতবর্ষে হেমন্ত বসু ভবনে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন মন্ত্রী ও তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। নিজস্ব চিত্র।
রেকর্ড সময়ের জন্য ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে যাওয়া নেতা, প্রয়াত অশোক ঘোষের জন্ম শতবর্ষ উদযাপন শুরু হল সমান্তরাল কমর্সূচি দিয়েই! এ বার ফ ব-র ৮৩তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালনেও একই ঘটনা ঘটেছিল।
হেমন্ত বসু ভবনে শনিবার অশোকবাবুর জন্ম শতবর্ষের দিনে উপস্থিত হয়েছিলেন বামফ্রন্টের সব শরিক ও অন্যান্য বাম দলের নেতৃত্ব। রাজ্য সরকারের তরফে শিল্পমন্ত্রী তথা তণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় গিয়েছিলেন অশোকবাবুর মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে। শতবর্ষ উপলক্ষে কলকাতা শহরে প্রয়াত বাম নেতার নামে কোনও স্থায়ী স্মারক প্রতিষ্ঠার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন ফ ব নেতৃত্ব।
ফ ব দফতরের অনুষ্ঠানে এ দিন অশোকবাবুর স্মৃতিচারণ করেন তাঁর দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধা, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। বক্তা ছিলেন ফ ব-র সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত বিশ্বাস ও রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়, সিপিআই (এম-এল) লিবারেশনের কার্তিক পালও। সিপিএমের সুখেন্দু পানিগ্রাহী, সিপিআইয়ের উজ্জ্বল চৌধুরী, আরএসপি-র অশোক ঘোষ, পিডিএসের সমীর পূততুণ্ড, অনুরাধা পূততুণ্ডেরাও অশোক-স্মরণে উপস্থিত ছিলেন। এর পরে মহাজাতি সদনে ‘বাম আন্দোলন ও অশোক ঘোষ’ বিষয়ক আলোচনার আয়োজন হবে বলে নরেনবাবু জানান।
অশোকবাবুর স্মৃতিকে হাতিয়ার করেই এ দিন পথে নামে বিক্ষুব্ধদের ‘আজাদ হিন্দ মঞ্চ’। আলি ইমরান রাম্জের (ভিক্টর) নেতৃত্বে ফ ব-র বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত ‘শপথ মিছিল’ করেন। প্রতীকী কামান সঙ্গে নিয়ে মতাদর্শের লড়াইয়ে ‘মূল ফটকে কামান দাগা’র ডাকও দেন তাঁরা। অশোকবাবুর নামে কোনও রাস্তা বা উদ্যানের নামকরণের দাবি তোলার পাশাপাশি ভিক্টরদের বক্তব্য, দলকে দুর্বল করার জন্য নয়, ওই মঞ্চ ফ ব-র ভিতরেই কাজ করতে চায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy