Advertisement
E-Paper

করোনায় আক্রান্ত কেতুগ্রামের যুবক

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত আক্রান্ত যুবকের প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে আসা দশ জনকে বর্ধমানের কাছে গাংপুরের বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ মে ২০২০ ০২:২৫
গণ্ডিবদ্ধ এলাকা। নিজস্ব চিত্র

গণ্ডিবদ্ধ এলাকা। নিজস্ব চিত্র

জেলায় আরও এক করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলল কেতুগ্রামের নৈহাটি গ্রামে। বৃহস্পতিবার বিকেলে মুম্বই-ফেরত ওই যুবককে কাঁকসার মল্লারপুরে ‘কোভিড ১৯’ (তৃতীয় ও চতুর্থ স্তর) হিসেবে গড়ে তোলা বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (সিএমওএইচ) প্রণব রায় বলেন, ‘‘ওই যুবককে আসানসোলের কাছে চেকপোস্টে আটকে লালারসের নমুনা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার রিপোর্ট পাওয়ার পরে আক্রান্ত যুবককে কাঁকসার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’’ স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, এ নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২০।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত আক্রান্ত যুবকের প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে আসা দশ জনকে বর্ধমানের কাছে গাংপুরের বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরোক্ষ সংস্পর্শে থাকায় আরও ২০ জনকে বাড়িতে নিভৃতবাসে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকের লালারসের নমুনা পরীক্ষা হবে বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যে অ্যাম্বুল্যান্স করে ওই যুবক ফিরেছিলেন, সেটি নিয়ে এক জন ফিরে গিয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জায়গায় রিপোর্ট করেছে।

জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, করোনা-আক্রান্ত ওই যুবক মুম্বইয়ের চেম্বুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে অ্যাম্বুল্যান্সের চালক ছিলেন। ১১ মে এক মহিলা-সহ সাত জন মুম্বই থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে কেতুগ্রাম রওনা দেন। ১৪ মে আসানসোলে ডুবুরডিহি চেকপোস্টে তাঁদের আটকানো হয়। সেখানেই সাত জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তা পাঠিয়ে দেওয়া কাঁকসার ওই হাসপাতালের বেসরকারি ল্যাবরেটরিতে। নমুনা দিয়ে তাঁরা কেতুগ্রামে ফিরে আসেন। বুধবার বিকেলে ওই ল্যাবরেটরির রিপোর্টে জানা যায়, কেতুগ্রামের যুবক করোনা-আক্রান্ত।

স্থানীয় সূত্রের দাবি, এলাকায় ফেরার পরে কেতু্গ্রাম ২ ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রত্যেকের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হয়। চিকিৎসকেরা সকলকেই বাড়িতে নিভৃতবাসে থাকার নির্দেশ দেন। তা না মেনে এক যুবক অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে মুম্বই ফিরে গিয়েছেন। বিডিও (কেতুগ্রাম ২) অরিজিৎ দাস বলেন, ‘‘ওই আক্রান্তের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষা সংস্পর্শে কারা এসেছেন, তার তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।’’ পুলিশ জানায়, আক্রান্তের বাড়ি লাগোয়া এলাকা ‘সিল’ করা হয়েছে।

Coronavirus Health
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy