E-Paper

নাবালিকাকে ধর্ষণ বার বার, ২৫ বছর কারাদণ্ড বর্ধমানে

বর্ধমান আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (দ্বিতীয়) তথা পকসো আদালতের বিশেষ বিচারক বর্ষা বনসল শনিবার দোষী শের আলি মল্লিকের এই কারাদণ্ডের সঙ্গে এক লক্ষ টাকা জরিমানা এবং তার অনাদায়ে আরও ছ’মাস সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৫ ০৮:৩৫

— প্রতীকী চিত্র।

অভিভাবকের না থাকার সুযোগে বাড়িতে ঢুকে একাধিক বার নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে ২৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড হল এক যুবকের। বর্ধমান আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (দ্বিতীয়) তথা পকসো আদালতের বিশেষ বিচারক বর্ষা বনসল শনিবার দোষী শের আলি মল্লিকের এই কারাদণ্ডের সঙ্গে এক লক্ষ টাকা জরিমানা এবং তার অনাদায়ে আরও ছ’মাস সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।

সরকার পক্ষের আইনজীবী সুদর্শনা ঘোষ বলেন, “সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ পেশের পরে, ঘৃণ্য অপরাধের জন্য আদালতের কাছে দোষীর কঠোর সাজার আবেদন জানিয়েছিলাম।” আইনজীবীরা জানান, বছর সাঁইত্রিশের ওই যুবক পেশায় চাষি। জেল হেফাজতে থাকাকালীনই তার বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হল। ডাক্তারি রিপোর্ট, সাক্ষীদের বয়ান ও অন্য প্রমাণের ভিত্তিতে শুক্রবার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক। এ দিন সাজা ঘোষণা করে দোষীর জরিমানার টাকার ৯০ শতাংশ নির্যাতিতাকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া, নির্যাতিতাকে সরকারের তরফে ছ’লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ ও আইনজীবীদের সূত্রে জানা যায়, ওই নাবালিকার মা ২০২২ সালের মাঝামাঝি উত্তর দিনাজপুর থেকে পূর্ব বর্ধমানের একটি গ্রামে এসে তিন সন্তানকে নিয়ে ভাড়াবাড়িতে থাকতে শুরু করেন। কাজ করেন হোটেলে। ২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর তিনি পুলিশে অভিযোগ করেন, আগের রাতে কাজের জন্য বাড়ি ফিরতে পারেননি। সে সুযোগে তাঁর বাড়িতে ঢুকে ওই যুবক তাঁর বছর এগারোর মেয়েকে ধর্ষণ করে। তিনি বাড়ি ফিরে মেয়ের কাছে তা জানতে পারেন। আগেও অভিযুক্ত ওই যুবক চার-পাঁচ বার নির্যাতন করেছে বলে মেয়ে তাঁকে জানিয়েছিল।

পুলিশ জানায়, অভিযোগ পেয়েই ডিএসপি পদমর্যাদার এক আধিকারিক তদন্তভার নেন। পরের দিনই ধরা পড়ে অভিযুক্ত। মাসখানেকের মধ্যে চার্জশিট জমা পড়ে। চার্জ গঠন হয় ২০২৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। আইনজীবীরা জানান, মেয়েটি কোর্টে নির্যাতনের কথা তুলে ধরেছিল। যুবককে চিহ্নিতও করেছিল। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকেরা আদালতকে জানান, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সরকার পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য, “এই রায়ে অপরাধীদের কাছে কড়া বার্তা যাবে।” সাজাপ্রাপ্তের পরিবার এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবে বলে দাবি করেছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Imprisonment Minor Rape Bardhaman

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy