বর্ধমান শহরে বামেদের মিছিল। নিজস্ব চিত্র।
রাত পোহালেই বামেদের ডাকে দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট। তাকে সামনে রেখে বর্ধমানে লাগাতার প্রচারে নেমেছে সিপিএম আর কংগ্রেস। গোটা জেলা ও বর্ধমান শহরের নানা প্রান্তে মিছিল মিটিং হয়েছে। বাইক র্যালি করে ধর্মঘটের সমর্থনে লাগাতার প্রচার চলছে।
এ প্রসঙ্গে সিপিএমের জেলা সম্পাদক অচিন্ত্য মল্লিক বলেন, ‘‘আমাদের দলের কর্মীরা ধর্মঘটের সমর্থনে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাস্তায় নামবেন। জেলায় বিভিন্ন জায়গায় ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল হবে।’’ পুলিশ-প্রশাসন বাধা দিলে কী হবে? সেই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘পরিস্থিতি অনুযায়ী চলা হবে।’’ সিপিএমের পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য তরুণ রায় বলেন, ‘‘দ্রুত মানুষের চিন্তার পরিবর্তন ঘটছে। বহু মানুষ বামেদের আহ্বানে সাড়া দিচ্ছেন।’’ কংগ্রেস নেতা অভিজিৎ ভট্টাচার্যের কথায়, ‘‘আমরা মানুষের কাছে নিজেদের বক্তব্য নিয়ে যাচ্ছি। মানুষ সাড়া দিচ্ছে।’’
ধর্মঘট নিয়ে দলের অবস্থান কী, এই বিষয়ে তৃণমূলের রাজ্য কমিটির মুখপাত্র তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহসভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, ‘‘বামেরা ধর্মঘট ডেকেছে। কংগ্রেস বামেদের সমর্থন জানিয়েছে। সবই ঠিক আছে। কিন্তু তৃণমূল কোনও দিনই ধর্মঘটের দিন ঝামেলা বা অশান্তি করে না। তার জন্য প্রশাসন আছে, পুলিশ আছে। জোর করে ধর্মঘটীরা দোকান বন্ধ করতে গেলে পুলিশ-প্রশাসন নিশ্চয়ই হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না।’’
তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর ধর্মঘট বা বন্ধ ডাকলে রাজ্য সরকার তার বিরোধিতা করেছে। কিন্তু এ বার কি সেই পথেই হাঁটবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার, প্রশ্ন তুলেছেন জেলা বিজেপি সভাপতি সন্দীপ নন্দী। তিনি বলেন, ‘‘ধর্মঘটের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন জায়গায় মিটিং মিছিল করছি। মানুষ এই ধর্মঘটকে সমর্থন যে করছেন না মিছিলে বা সভা দেখলে তা বোঝা যাচ্ছে। রাজ্যের শাসকদল কী ভূমিকা নেয়, সেটাই দেখার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy