নিজস্ব চিত্র।
পুলিশের সহযোগিতায় ঘরে ফেরার পর ফের অমানষিক নির্যাতনের শিকার হয়ে সপরিবারে ঘরছাড়া হলেন খণ্ডঘোষের এক মহিলা বিজেপি নেত্রী। এ বারও অভিযোগের আঙুল উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। আপাতত বর্ধমানে বিজেপির জেলা দলীয় কার্যালয়ে স্বামী ও তাঁর দুই সন্তানকে নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন রাখি রায় নামে ওই বিজেপি কর্মী।
খণ্ডঘোষের উখরিদ গ্রামের দাসপাড়া এলাকায় বাড়ি রাখি রায়ের। ভোটের ফল প্রকাশের দিনই বাড়ি ছাড়া হয়ে বাঁকুড়ার ইন্দাস থানার একটি গ্রামে সপরিবারে উঠেছিলেন তিনি। তার পর থেকে সেখানেই ছিলেন। গত ১৮ জুন খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়ে সপরিবার তাঁদের উখরিদের বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন। রাখিদেবী বলেন, সোমবার এলাকার তৃণমূলের লোকজন ফের তাঁর বাড়িতে হামলা চালায়। তাঁকে বিবস্ত্র করে মারধর করে। রেহাই পাননি তাঁর স্বামীও। এ বিষয়ে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের নেত্রী তথা আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালকে জানিয়েছেন। পুলিশ ছাড়াও জেলা তৃণমূল নেতৃত্বও এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করেছে বলে খবর।
বিজেপির আইনজীবী সেলের নেতা সুব্রত কর্মকার বলেন, ‘ভোট পরবর্তী হিংসায় গোটা রাজ্যে বিজেপি-র বহু কর্মী ও সমর্থক ঘরছাড়া হয়। তা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলাও হয়েছে। ঘরছাড়া থাকা সবাইকে ঘরে ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেই মতো পূর্ব বর্ধমান জেলা-সহ রাজ্যের সর্বত্র ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরানোর কাজ শুরু হয়। কিন্তু পুলিশ ঘরে ফিরিয়ে দিলেও তৃণমূলের দুস্কৃতীদের অত্যাচারে অনেকেই ফিরতে পারছেন না বা ফিরে এলেও আবার ঘরছাড়া হচ্ছেন তাঁরা।’’
যদিও খণ্ডঘোষ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অপার্থিব ইসলাম জানিয়েছেন, ‘‘উখরিদে মহিলা বিজেপি কর্মীকে মারধর করা হয়েছে, তাঁর বাড়িতে হামলা ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সর্বৈব মিথ্যে। আসলে বিজেপি নেতারা রাজ্যের বদনাম করতে চাইছে। পুলিশকেও চাপে রাখতে চাইছে। ভোটে জিততে না পেরে এখন এইসব নোংরা রাজনীতির খেলা শুরু করেছে।’’ অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যের মুখপত্র তথা পূর্ব বর্ধমান জেলাপরিষদের সহকারী সভাপতি দেবু টুডু বলেন, ‘‘কোথাও যদি এমন কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা হয়ে থাকে, তা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ প্রশাসনও বিষয়টি দেখছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy