Advertisement
২৯ এপ্রিল ২০২৪
Water logged

জলমগ্ন বর্ধমান শহরের দুই পাড়া

স্থানীয় বাসিন্দা নুরজাহান বিবি বলেন, “জল বাড়ছে। আতঙ্কে আছি। বাড়িতে জল ঢুকে পড়েছে। ঠোঙা বিক্রি করে সংসার চালাই।

area submerged in water

শহরের সাহাচেতন এলাকায় জল। — নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২৩ ০৮:৫৫
Share: Save:

নিকাশি ব্যবস্থা ‘বেহাল’। বৃষ্টি হলেই শহরের রাস্তা উপচে জল ঢোকে স্কুল চত্বরে। মঙ্গলবার থেকে দফায় দফায় বৃষ্টি হওয়ায় এবং সেচের জন্য ডিভিসি জল ছাড়ায় কার্যত মজে যাওয়া বাঁকা নদী ফুলে ফেঁপে উঠেছে। শহরের নিকাশির জল বেরোচ্ছে না। ফলে বর্ধমান শহরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাহাচেতনের বালির বাগান ও ডাঙা পাড়া মঙ্গলবার রাত থেকে জলমগ্ন। বেশ কিছু বাড়িতে জল ঢুকেছে। লোকজন আশ্রয় নিয়েছেন ছাদে।

ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ সাহাবুদ্দিন বলেন, “আমরা ওয়ার্ড ঘুরে কার কী অসুবিধা, তার খোঁজ নিয়েছি। স্থানীয় স্কুলে ত্রাণশিবির খোলার ব্যবস্থা হয়েছে।’’ নদীর নোংরা জলের সঙ্গে ঢুকে পড়েছে সাপ ও পোকামাকড়, দাবি স্থানীয়দের। পুরসভা সূত্রে জানা যায়, ওই দু’টি পাড়ায় কম-বেশি ৬০টি বাড়ি জলমগ্ন। রাস্তার পানীয় জলের কল জলের তলায়। যে দু’য়েকটি কল জেগে রয়েছে, সেগুলি থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করছেন স্থানীয়েরা। জল ঢুকে পড়ায় এ দিন স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা নুরজাহান বিবি বলেন, “জল বাড়ছে। আতঙ্কে আছি। বাড়িতে জল ঢুকে পড়েছে। ঠোঙা বিক্রি করে সংসার চালাই। সেগুলি ভিজে গেলে কী করব?“ হালিমা খাতুন নামে এক জনের দাবি, “বাড়ির ভিতরে হাঁটু সমান জল। মেয়েদের পরীক্ষা চলছে। ওরা যেতে পারেনি।“ স্থানীয়দের দাবি, নিকাশি নালা ও বাঁকা সংস্কার না হওয়ায় ফি বছর একই সমস্যায় ভোগেন তাঁরা।

বিজেপি নেতা সুধীররঞ্জন সাউয়ের অভিযোগ, “শহরে নিকাশি বলে কিছু নেই। অল্প বৃষ্টিতেই শহর ডুবে যায়। আর বাঁকার সংস্কার না হওয়ায় শহরবাসীকে ভুগতে হচ্ছে।“ পুরপ্রধান পরেশ সরকারের দাবি, নিকাশির হাল ফেরানো হয়েছে। বাঁকা সংস্কারের জন্য ‘মাস্টার প্ল্যান’ প্রয়োজন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Water logged Bardhaman
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE