আউশগ্রামে অশান্তি। নিজস্ব চিত্র
‘কাটমানি’ ফেরতের দাবিতে বাইরে থেকে লোকজন এনে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি গিয়ে বিক্ষোভ, শাসানোর অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে।
আউশগ্রাম ২ ব্লকের ভেদিয়া পঞ্চায়েত এলাকার সাগরপুতুল গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, মঙ্গলবার সকালে বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতার বাড়ি গিয়ে কাটমানি ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান, চলে শাসানি। পরে ওই তৃণমূলের নেতারা আলোচনার প্রতিশ্রুতি দিলে বিক্ষোভ থামে। যদিও বিজেপি অভিযোগ মানেনি। দলের স্থানীয় নেতা ষষ্ঠীরাম মাজির পাল্টা অভিযোগ, ‘‘বাড়ি তৈরি-সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে ওই তৃণমূল নেতারা কাটমানি নিয়েছেন। তা ফেরত দিতে বলা হলে পাল্টা হুমকি দেন তাঁরা। তারই প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূলের বুথ সভাপতি ভূতনাথ গুপ্ত-সহ বেশ কয়েকজন কর্মীর বাড়িতে হাজির হন বিজেপি কর্মীরা। তবে দু’জন ছাড়া কেউই বাড়িতে ছিলেন না। তাঁদের মধ্যে কৃষ্ণচন্দ্র গুপ্তর অভিযোগ, “বিজেপির লোকজন হঠাৎ বাড়ি ঘেরাও করে। বাড়ির মহিলাদের সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করে আমাদের শাসিয়ে গিয়েছে। ঠেলাঠেলিও করেছে।” তাঁর দাবি, যে টাকা নেওয়ার অভিযোগ বিজেপি করছে, সেই টাকা দিয়ে সামাজিক কাজকর্ম করা হয়েছে। আউশগ্রাম ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সৈয়দ হায়দার আলির অভিযোগ, “বিজেপি বহিরাগতদের এনে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে উন্নয়নের কাজে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করছে। আমরা সহযোগিতার জন্য ডাকলেও আসছে না। এতে এলাকায় উন্নয়নের কাজ থমকে রয়েছে।”
যদিও ‘বহিরাগত’ প্রসঙ্গে বিজেপির মণ্ডল কমিটির সভাপতি দেবব্রত মণ্ডলের দাবি, “ওই সমস্ত তৃণমূল নেতারা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে উন্নয়নের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। বাইরের লোক নয়, স্থানীয় লোকজনই তা ফেরতের দাবি জানিয়েছেন।”
আউশগ্রাম ১ ব্লকেও ‘কাটমানি’ ফেরত চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেন গ্রামবাসীরা। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মিরশা গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ এ দিন চার তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। কার কাছ থেকে কত টাকা নেওয়া হয়েছে তার তালিকাও দেন। আউশগ্রাম ১-এর বিডিও চিত্তজিৎ বসু জানান, বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy