বাড়ি বিক্রির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৩ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল বর্ধমান থানার পুলিশ। ধৃতের নাম অয়ন মৈত্র। বর্ধমান শহরের ঝাপানতলা এলাকায় তাঁর বাড়ি। রবিবার সকালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার বিষয়ে বর্ধমান শহরের মেহেদিবাগানের বাসিন্দা মুক্তি দত্ত সিজেএম আদালতে মামলা করেন। কেস রুজু করে তদন্তের জন্য বর্ধমান থানার আইসিকে নির্দেশ দেন সিজেএম। তার ভিত্তিতে জাল নথিপত্র তৈরি করে প্রতারণার মামলা রুজু করে থানা।
অভিযোগে মুক্তি জানিয়েছেন, অয়ন তাঁর তিনতলা বাড়িটি বিক্রি করার ইচ্ছা প্রকাশ করে তাঁর কাছে। এ ব্যাপারে দু’পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তি হয়। বাড়িটির দাম ৫৩ লক্ষ টাকা স্থির হয়। তিনি দু’লক্ষ টাকা অগ্রিম দেন। পরে কয়েক দফায় আরও ১৬ লক্ষ টাকা অয়নকে দেন তিনি। অভিযুক্ত বাড়িটি তাঁকে রেজিস্ট্রি করে দেবে বলে জানায়। টাকা পাওয়ার পর নানা অছিলায় রেজিস্ট্রি না করে তিনি এড়িয়ে চলে। এতে তাঁর মনে সন্দেহ হয়। বিভিন্ন ভাবে খোঁজখবর নিয়ে তিনি জানতে পারেন, অয়ন বাড়িটি বন্ধক রেখে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ৩০ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছেন। বিষয়টি জানার পর তিনি অয়নের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি যে বাড়ি কিনতে আর ইচ্ছুক নন, তা তাঁকে তিনি জানিয়ে দেন। অয়ন তাঁকে পাঁচ লক্ষ টাকা ফেরত দেন। বাকি টাকা তিন মাসের মধ্যে মিটিয়ে দেবে বলে আশ্বাস দেন। তার পর বহু বার তিনি টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য তাঁকে তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু, তিনি টাকা ফেরত দেয়নি।
রবিবারই ধৃতকে বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতের আইনজীবী অতনু সরকার বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই পাঁচ লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে দেওয়ানি আদালতে মামলা চলছে। তার পরেও এধরনের মামলা করা হয়েছে। তাই যে কোনও শের্ত ধৃতকে জামিন দেওয়া হোক।’’ সরকারি আইনজীবী অবশ্য জামিনের জোরালো বিরোধিতা করেন। দু’পক্ষের সওয়াল শুনে সপ্তাহে এক দিন তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজিরা এবং তথ্য প্রমাণ নষ্ট না করা ও মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত কাউকে ভীতি প্রদর্শন না করার শর্তে ১০ হাজার টাকা বন্ডে ধৃতের জামিন মঞ্জুর করেন সিজেএম বিনোদকুমার মাহাত।