Advertisement
E-Paper

‘অত্যাচারে’ জেলে, ছাড়া বাবার অনুরোধেই

মহকুমাশাসকের দফতর সূত্রে জানা যায়, কাটোয়া ২ ব্লকের শীলা গ্রামের বাসিন্দা, ইসিএলের প্রাক্তন কর্মী, বছর ৭৩-এর দিননাথ যশ মার্চে অভিযোগ করেন, তাঁকে, তাঁর স্ত্রীকে অত্যাচার করছে ছেলে সঞ্জয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:০১
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

বৃদ্ধ বাবা-মাকে অত্যাচার করার অভিযোগে কাটোয়ার সঞ্জয় যশ নামে এক জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। অভিযুক্তকে সাবডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটের (মহকুমাশাসক, কাটোয়া) সামনে হাজির করায় পুলিশ। ধৃতকে সাত দিন বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। শেষমেশ বাবার আর্জিতেই মুক্তি পেয়েছেন সঞ্জয়।

মহকুমাশাসকের দফতর সূত্রে জানা যায়, কাটোয়া ২ ব্লকের শীলা গ্রামের বাসিন্দা, ইসিএলের প্রাক্তন কর্মী, বছর ৭৩-এর দিননাথ যশ মার্চে অভিযোগ করেন, তাঁকে, তাঁর স্ত্রীকে অত্যাচার করছে ছেলে সঞ্জয়। অভিযোগ করেন, সঞ্জয় গালিগালাজ করেন বৃদ্ধ বাবা-মাকে। এমনকি, খুনের হুমকি দেওয়া, টাকা চুরিরও অভিযোগ ওঠে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ পেয়ে সাবডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট সৌমেন পাল শুনানির জন্য বেশ কয়েক বার ডেকে পাঠান সঞ্জয়কে। কিন্তু তিনি না আসায় গত ৬ সেপ্টেম্বর জারি হয় গ্রেফতারি পরোয়ানা। এর পরে চলতি মাসের ১১ তারিখ পুলিশ সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে। সৌমেনবাবু অভিযুক্তকে সাত দিন জেল-হাজতের নির্দেশ দেন।

মহকুমাশাসকের দফতর সূত্রে জানা যায়, এর পরে ১৭ তারিখে ফের সঞ্জয়কে হাজির করানো হয়। ওই দিন দিননাথবাবুর আর্জিতেই মুচলেকা লিখিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় সঞ্জয়কে। মহকুমাশাসকের দফতর সূত্রে জানা যায়, ভবিষ্যতে বাবা-মায়ের উপরে অত্যাচার করব না, এই মর্মে মুচলেকা দেন সঞ্জয়।

সাবডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটের বক্তব্য, ‘‘অভিযোগের কথা বিবেচনা করেই অভিযুক্তকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়। বৃদ্ধ বাবা-মায়ের উপরে অত্যাচার করা হলে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হয়।’’

Burdwan
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy