Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Attempt To Murder

Husband: কেন পেট্রল পাম্পে চাকরি করেন স্ত্রী, রাগে মাথায় হাতুড়ি মেরে শ্রীঘরে মত্ত স্বামী

কালনার বাসিন্দা পূর্ণিমা চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, তাঁর স্বামী সমীর চট্টোপাধ্যায় দিনরাত নেশা ডুবে থাকেন। সংসারে কোনও টাকাপয়সা দেন না।

হাসপাতালে জখম পূর্ণিমা চট্টোপাধ্যায়।

হাসপাতালে জখম পূর্ণিমা চট্টোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কালনা শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২২ ১৭:০২
Share: Save:

দিনরাত নেশায় ডুবে থাকেন স্বামী। সংসার চালানোর জন্য সংসারে টাকাপয়সা দেন না বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে বাপের বাড়িতে গিয়ে পেট্রল পাম্পে চাকরি নিয়েছিলেন স্ত্রী। ক্ষোভে স্ত্রীর মাথায় হাতুড়ি মারার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনার পাণ্ডুয়া মোড় এলাকায়। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
কালনার বাসিন্দা পূর্ণিমা চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, তাঁর স্বামী সমীর চট্টোপাধ্যায় দিনরাত নেশায় ডুবে থাকেন। সংসারে কোনও টাকাপয়সা দেন না। দীর্ঘ দিন এমন চলতে থাকায় ‘বিরক্ত’ পূর্ণিমা শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে নাদনঘাটের ধামাই এলাকায় বাপেরবাড়ি চলে যান। সেখানে তিনি একটি পেট্রল পাম্পে চাকরি নেন। অভিযোগ, মঙ্গলবার পেট্রল পাম্পে থাকাকালীন স্ত্রীর উপর হাতুড়ি নিয়ে হামলা করেন সমীর। তাঁর মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাতও করেন। এর পর সমীরকে পেট্রল পাম্পের কর্মীরা ধরে ফেলে মারধর করেন। তাঁরা সমীরকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। সমীর এবং পূর্ণিমা দু’জনকেই কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

পূর্ণিমার দাবি, সমীর দিনরাত মদ খেয়ে থাকেন। তিনি বলেন, ‘‘ও দিনরাত মদ খায়। সংসার চলবে কী করে, সেই ভাবনা নেই। সংসার চালাতে পয়সা দেয় না। তা হলে ছেলে নিয়ে কী করে চলবে? তাই বাধ্য হয়ে বাপেরবাড়ি এসে পেট্রল পাম্পে কাজ করছি সংসার চালানোর জন্য।’’ তবে এই কারণে যে তাঁর উপর হামলা হতে পারে, তা ভাবেননি পূর্ণিমা। সমীর যদিও অভিযোগ করেছেন, পূর্ণিমাই তাঁর উপর আগে হামলা করেছিলেন। গোটা বিষয়টাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Attempt To Murder police Kalna
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE