—প্রতীকী চিত্র।
সমকামী সম্পর্ক থেকে মেয়েকে সরিয়ে এনে তাঁর বিয়ে ঠিক করেছিল পরিবার। কিন্তু বিয়ের তিন দিন আগে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হলেন সাবিনা খাতুন(নাম পরিবর্তিত)। মঙ্গলবার বর্ধমানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই তরুণীর মৃত্যু হয়। আত্মঘাতী তরুণীর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের গলসির থানা এলাকায়।
মৃতার পরিবার সূত্রে খবর, গলসি এলাকার এক তরুণীর সঙ্গে তিন বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সাবিনার। কিন্তু, সমকামী সম্পর্ক কেউ মেনে নিতে পারেনি। বুঝিয়ে-সুঝিয়ে সাবিনাকে বিয়েতে রাজি করানো হয়েছিল। কিন্তু, তার মধ্যে আত্মঘাতী হলেন ওই তরুণী।
পরিবারের অভিযোগ, সমকামী সম্পর্ক ছিল যে তরুণীর সঙ্গে, তিনি হঠাৎ বিয়ে প্রস্তাব দেন সাবিনাকে। তার পরেই সাবিনা মানসিক চাপে পড়ে যান।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সাবিনাকে ওই তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ বা মেলামেশা বন্ধ করতে বলেন পরিবারের লোকজন। এমনকি, মোবাইলেও যাতে সাবিনা যোগাযোগ না-রাখতে পারেন, তার জন্য রিচার্জও করতে দেওয়া হত না। কয়েক দিন আগে গলসি এলাকার ওই তরুণী সাবিনার মোবাইল রিচার্জ করে দেন। পুনরায় দু’জনের ফোনে কথাবার্তা শুরু হয়। তার পরেই কীটনাশক আত্মঘাতী হয়েছেন সাবিনা।
সাবিনাকে উদ্ধার করে প্রথমে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন চিকিৎসক। আর্থিক সমস্যার কারণে কলকাতা থেকে নিয়ে গিয়েও ওই তরুণীকে ফিরিয়ে এনে বর্ধমানের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy