বার্নপুরের কিছু এলাকার হাল এমনই। নিজস্ব চিত্র
টানা এক সপ্তাহের গরম থেকে মুক্তি দিয়েছে মঙ্গলবার থেকে টানা বৃষ্টি। কিন্তু এর জেরে আসানসোল, বার্নপুরের কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে। বুধবার ‘লকডাউন’ থাকায় দুর্ভোগ কিছুটা কম হলেও আরও ২৪ ঘণ্টা বৃষ্টি হলে সমস্যা তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা বাসিন্দাদের একাংশের।
মঙ্গলবার রাত থেকেই আসানসোল পুরসভার ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডের নরসিংহবাঁধ ও শাস্ত্রীনগরের অলি-গলি জলে ভরে যায়। বাসিন্দারা জানান, অন্তত বারোটি বাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা প্রেমশঙ্কর দুবে বলেন, ‘‘নর্দমার নোংরা জল ঘরে ঢুকেছে। তার মধ্যেই থাকতে হয়েছে।’’ ওই দিন রাতের দিকে বৃষ্টি কিছুটা কমায় ঘণ্টা দু’য়েক বাদে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। কিন্তু বুধবার সকাল থেকে ফের ভারী বৃষ্টি শুরু হওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়। ৭৯ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষপল্লিতেও নর্দমা উপচে রাস্তা ও পাড়া ডুবিয়ে দিয়েছে। ৮০ নম্বর ওয়ার্ডের শান্তিনগর, ৮১ নম্বর ওয়ার্ডের পুরানো হাট ও ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতনগরের কিছু-কিছু অঞ্চলে দু’দিনের বৃষ্টিতে জল জমে যায়।
জল জমার চিত্র দেখা গিয়েছে, আসানসোল ঊষাগ্রাম লাগোয়া জিটি রোডে, স্টেশন লাগোয়া রেল টানেল ও ডিপোপাড়া যাওয়ার রাস্তায়। মঙ্গলবার বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বওয়ার কারণে অনেক জায়গায় গাছের ডাল বিদ্যুতের তারে ভেঙে পড়েছে। ফলে, বেশি কিছু এলাকা বিদ্যুৎহীন থাকে দীর্ঘক্ষণ। বাসিন্দাদের বড় অংশের অভিযোগ, পুর-এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল। তাই টানা কিছুক্ষণ বৃষ্টি হলেই নর্দমার জল উপচে রাস্তায় এসে পড়ছে।
যদিও পুর-কর্তাদের একাংশের দাবি, বাসিন্দারা মাত্রাতিরিক্ত পলি-ব্যাগ ব্যবহার করছেন। সেই পলি-ব্যাগগুলি নর্দমার মুখ আটকে থাকায় নিকাশিতে সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও শহরবাসীর একাংশের অভিযোগ, প্লাস্টিকের ব্যবহার রুখতে প্রশাসনের নজরদারিতে খামতি রয়েছে।
আসানসোল পুরসভার মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, ‘‘বৃষ্টির জল যাতে দীর্ঘক্ষণ এলাকায় না জমে থাকে, তা নিশ্চিত করতে পুরসভার সাফাই বিভাগকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy