নর্জা দিঘিতে পরিযায়ী হাঁসের ঝাঁক। নিজস্ব চিত্র।
শীত পড়তেই পরিযায়ী পাখিদের আগমন ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে। ভিনদেশি অতিথিদের আগমনে সরগরম এলাকার একাধিক জলাশয়। গাছের ডালেও দেখা মিলছে রংবেরঙের নানা প্রজাতির পরিযায়ী পাখি। তাদের দেখতে ভিড় জমছে পক্ষীপ্রেমীদেরও।
বর্ধমান-কাটোয়া রাজ্য সড়কের ভাতারের নর্জা কাগজ মিলের পাশে রয়েছে একটি বিশাল দিঘি। প্রতি বছরই শীতের মৌসুমে ঝাঁকে ঝাঁকে পরিযায়ী পাখিদের আগমন হয়। এবছর অনেক দেরিতে এলো অতিথিরা হাজির হয়েছে। শীতকালে বরফে ঢাকা পড়া সাইবেরিয়া, ইউরেশিয়া, তিব্বত বা হিমালয়ের পাদদেশ থেকে মনোরম জলবায়ুর টানে উড়ে আসে বহু প্রজাতির হাঁস। বিদেশি নর্দার্ন পিনটেল, গ্যাডওয়াল, কমন টিলের পাশাপাশি সেই তালিকায় রয়েছে স্থানীয়-পরিযায়ী ছোট শরাল (লেসার হুইসলিং ডাক), বালিহাঁস (কটন পিগমি গুজ)-রাও।
অতিথিদের কিচির-মিচির ডাক শুনতে এবং প্রকৃতির সৌন্দর্যকে অনুভব করতে দূরদূরান্ত থেকে মানুষজন এই দিঘির পাড়ে আসছেন। পাশাপাশি, পরিযায়ী পাখিদের মারার উদ্দেশ্যে চোরাশিকারিদের আনাগোনার অভিযোগও উঠে আসছে। যদিও ভাতার থানার পুলিশ পরিযায়ী অতিথিদের সুরক্ষার বিষয়ে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে।
ভাতার থানার ওসি সৈকত মণ্ডল জানিয়েছেন, শীতের মরসুমে নানা প্রজাতির পরিযায়ী অতিথিদের আগমন ঘটে ভাতারের নর্জা এলাকায় ওই দিঘিতে। সেই অতিথিদের টানে তিনি কাজের ফাঁকে মাঝেমধ্যেই ওই স্থানে হাজির হন। একদিকে যেমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যকে অনুভব করা যায় অন্যদিকে পরিযায়ী পাখিদের সুরক্ষায় নজরও দেওয়া হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা শেখ ফিরোজ জানান, বহু বছর ধরে নর্জার এই দিঘিতে হাজার হাজার পরিযায়ী পাখিদের আগমন হয় । পূর্ব বর্ধমান এবং আশপাশের জেলাগুলি থেকে বহু মানুষ এসে সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে নিয়ে যান। দিঘি ও বাগান মালিকেরা এই অতিথিদের খুবই ভাল বাসেন। পুলিশেস পাশাপাশি তাঁরাও অতিথিদের সুরক্ষায় নজর রাখেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy