জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মিঠু মাজি। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদে মিঠু পূর্ত দফতরের কর্মাধ্যক্ষ পদে ছিলেন। যদিও এই বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার। তিনি কিছু জানেন না বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান। মিঠুর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, জেলাশাসকের কাছে তাঁর পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন। জেলা পরিষদে কাজের পরিবেশ নেই বলে জানান তিনি। তার পরেই তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। জেলাশাসক আয়েশা রানি এই ইস্তফা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।
মিঠু জানিয়েছেন, জেলা পরিষদে কাজের পরিবেশ নেই তাই তিনি জেলাশাসকের কাছে পদত্যাগ পত্র দিয়েছেন। তিনি ‘ঠুঁটো জগন্নাথ’ হিসেবে থাকতে চান না। তিনি আরও জানান, এই বিষয়টি জেলা সভাপতিকে জানিয়েছিলেন। তাতে কোনও কাজ হয়নি বলে তাঁর অভিযোগ। তাই তিনি পদত্যাগ করেছেন। তিনি যে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন, তা স্বীকার করেছেন জেলাশাসক আয়েশা।
আরও পড়ুন:
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, মিঠু বছর দেড়েক আগে নদিয়ার করিমপুরের একটি কলেজে সহকারী অধ্যাপক পদে যোগ দেন। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের পাশাপাশি অধ্যাপকের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন তিনি। জেলা পরিষদের একাংশের অভিযোগ, এই নিয়ে গত এক বছরে বিতর্ক তৈরি হয়। সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত উন্নয়ন দফতরে তিন বার মিঠুর বিরুদ্ধে আরটিআই হয়। আরটিআইয়ের পরিপেক্ষিতে দফতর থেকে জানানো হয়, এক ব্যক্তি দু’টি পদে কর্মরত থাকতে পারেন না। মিঠু কলেজে ছুটির আবেদন করলেও তা মেলেনি। সেই নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক।