নিয়ে যাওয়া হচ্ছে খোকন মাঝিকে। — নিজস্ব চিত্র।
মাইকম্যানের গলা কেটে খুন এবং আরও ২ জনকে খুনের চেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড আদালত। বুধবার পূর্ব বর্ধমানের কালনা আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক সুধীর কুমার এই সাজা ঘোষণা করেছেন। সাজাপ্রাপ্তের নাম খোকন মাঝি। তিনি কালনার রুকুসপুর গ্রামের বাসিন্দা। বিচারকের রায়ে খুশি নিহত এবং আহতদের পরিবার। কিন্তু, খোকন নির্দোষ বলে দাবি করেছেন তাঁর আইনজীবী।
তিন বছর আগের ওই মামলার সরকারি আইনজীবী মলয় পাঁজা জানিয়েছেন, কালনার রুকুসপুর গ্রামের ঝাপানের মেলায় ওই হত্যার ঘটনা ঘটে। ওই দিন স্থানীয় দক্ষিণ দুর্গাপুরের বাসিন্দা অভিজিৎ সিংমা মেলায় মাইক বাজানোর কাজ করছিলেন। হঠাৎ করে বিদ্যুতের ভোল্টেজ কমে যাওয়ায় মাইক বন্ধ হয়ে যায়। তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে রুকুসপুরের বাসিন্দা খোকন। ক্ষুব্ধ খোকন ধারালো অস্ত্র নিয়ে অভিজিতের উপর চড়াও হয়। সে ধারালো অস্ত্র দিয়ে অভিজিতের গলা কেটে দেয়। তা দেখে অভিজিতের দুই সহযোগী রাজীব সিংহ এবং পিকাই হালদার বাধা দিতে যান। তখন খোকন তাঁদের উপরেও চড়াও হয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে। স্থানীয়রা ৩ জনকে উদ্ধার করে কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা অভিজিৎকে মৃত বলে জানান।
এই ঘটনা নিয়ে কালনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অভিজিতের বাবা প্রশান্ত সিংহ। প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ এবং চিকিৎসক-সহ মোট ২৪ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এর পর খোকনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। বুধবার অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনান বিচারক। যদিও খোকনের আইনজীবী শুভ্র রায় দাবি করেছেন, তাঁর মক্কেলকে ফাঁসানো হয়েছে। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে তিনি হাই কোর্টে যাবেন বলেও জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy