আদালতে আত্মসমর্পণ জিতেন মাঝির। — নিজস্ব চিত্র।
ধর্ষণকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় শুক্রবার এজলাস থেকে চম্পট দিয়েছিলেন এক আসামি। তাঁর বাড়ির লোকজনের হস্তক্ষেপে পর দিন অর্থাৎ শনিবার আত্মসমর্পণ করলেন তিনি। এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায়।
শুক্রবার পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া মহকুমা আদালতে ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন কেতুগ্রামের বাসিন্দা জিতেন মাঝি। অভিযোগ, দোষী সাব্যস্ত হওয়ার কথা শুনে এজলাস থেকে চম্পট দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার প্রথমে কাটোয়া শহরের কাছে একটি গ্রামে তাঁর এক আত্মীয়ের বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন জিতেন। পরে তিনি যান নিজের বাড়িতেও। এর পর জিতেনের বাড়ির লোকজন আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। শেষে সকলের মধ্যস্থতায় শনিবার সকালে কাটোয়া মহকুমা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন জিতেন। ধর্ষণ মামলায় জিতেনকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
২০১০ সালের এপ্রিল মাসে পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার ছোট পুরুলিয়া গ্রামে প্রতিবেশী এক প্রতিবন্ধী নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে জিতেনের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে কেতুগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার পরিবার। পুলিশ অভিযুক্ত জিতেনকে গ্রেফতার করে। মাস দেড়েক জেল হেফাজতে ছিলেন অভিযুক্ত। পরে জিতেন জামিনে ছাড়া পান। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ধর্ষণের মামলার শুনানি শেষ হয় গত বছর নভেম্বর মাসে। শুক্রবার ছিল মামলার রায়দান। দুপুরে কাটোয়া মহকুমা আদালতের জেলা জজ এবং দায়রা আদালতের (প্রথম) বিচারক সুকুমার সূত্রধর জিতেনকে ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেন। এর পর সুযোগ বুঝে ভরা এজলাস থেকে চম্পট দিয়েছিলেন জিতেন।
জিতেনের স্ত্রী সুপ্রিয়া মাঝি জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত ১২টা নাগাদ বাড়িতে উপস্থিত হয়েছিলেন তাঁর স্বামী। এর পর পরিবারের লোক তাঁকে বোঝানোর পর জিতেন শনিবার সকালে কাটোয়া মহকুমা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন বলে জানিয়েছেন সুপ্রিয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy