১৩ নম্বর ওয়ার্ডে দল বদল। এ নিয়েই তরজা। নিজস্ব চিত্র
দল বদলকে কেন্দ্র করে বৃষ্টি ভেজা শীতের শহরেও রাজনৈতিক তরজার পারদ চড়ল। রবিবার রাজ্যের মন্ত্রী তথা আসানসোল উত্তরের বিধায়ক মলয় ঘটক প্রচারে বেরোন। সে সময়ই বেশ কয়েক জন বিজেপি নেতা-কর্মীকে তাঁদের দলে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি করলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। বিজেপি অবশ্য এ ঘটনাকে আমল দিতে চায়নি।
এ দিন ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী রিনা মুখোপাধ্যায়ের সমর্থনে রবিবাসরীয় প্রচারে বেরিয়ে ছিলেন মলয়। সে সময় ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার আসানসোল ২ নম্বর মণ্ডলের সহ-সভাপতি উপেন্দ্র নোনিয়া-সহ প্রায় ৫০ জন বিজেপি নেতা, কর্মী মলয়ের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন বলে দাবি। মলয় দাবি করেন, “এর আগেও এই ওয়ার্ডেরই বাউড়িপাড়ায় শতাধিক বিজেপি কর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। ওঁরা সকলেই এলাকার উন্নয়নে যোগ দিতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।” পাশাপাশি, তাঁর সংযোজন: “আসানসোল উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের ৩২টি ওয়ার্ডের কোথাও আগামী দিনে বিজেপিকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।”
যদিও, এই ঘটনাকে আমল দিতে চাননি বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দিলীপ দে। তাঁর অভিযোগ, “সব এলাকাতেই বিজেপি কর্মীদের ভয় দেখিয়ে দলে টানছে তৃণমূল। এতে কোনও লাভ হবে না। ওঁরা গোপনে বিজেপিকেই ভোট দেবেন।” ভয়-প্রদর্শনের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
এ দিকে, বৃষ্টির কারণে প্রচারে কিছুটা রদবদল করেন ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী প্রিয়ব্রত সরকার। তিনি জানান, এ দিন সকাল থেকে বেজডিহি এলাকায় শ্রমিক পরিবারগুলিতে বাড়ি-বাড়ি প্রচারের কথা ছিল তাঁর। কিন্তু বৃষ্টির জন্য সে পরিকল্পনা বদলে তিনি বেজডিহি পাটমোহনা এলাকার খনি শ্রমিকদের সঙ্গে ‘গ্রুপ সভা’ করেন। বার্নপুরের ত্রিবেণীতেও ইস্কো আবাসনের আবাসিকদের নিয়ে ‘গ্রুপ সভা’ করে প্রচার সারেন সিপিএম প্রার্থী চন্দন মিশ্র। তিনি জানান, রবিবার ছুটির দিন হওয়ায় সব শ্রমিককেই পাওয়া গিয়েছে। তবে, এ দিন আবহাওয়া খারাপ থাকায় প্রচারে সামান্য সমস্যা হয়েছে বলে জানান ৮৩ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী শাহ আলম। যদিও, তাঁর দাবি, প্রচারে ভালই সাড়া
পাওয়া গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy