মেডিক্যাল পড়ুয়ার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব বর্ধমানে। হস্টেলের ঘর থেকে ওই পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। আত্মহত্যা না খুন, ধন্দে পুলিশ। তবে তদন্তকারীদের অনুমান, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। তবে এই মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বর্ধমানের শক্তিগড় থানার গাংপুরের জোতরামে একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের ঘর থেকে শনিবার এক ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রকে ঘরের সিলিং ফ্যানের হুক থেকে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পান হস্টেলের অন্য আবাসিকেরা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা বিষয়টি জানান হস্টেল কর্তৃপক্ষকে। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। ঝুলন্ত অবস্থা থেকে ওই পড়ুয়াকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তাঁকে পরীক্ষা করে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন:
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম মহম্মদ রিয়াজ আলি (১৯)। তাঁর বাড়ি মুর্শিদাবাদের বহরমপুর থানার ডাবকাই গ্রামে। পড়াশোনার কারণে কলেজের হস্টেলে থাকতেন ওই পড়ুয়া। তিনি পিজিওথেরাফির প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলেন। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে শক্তিগড় থানার পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, রিয়াজ আত্মঘাতী হয়েছেন! তবে কেন এই পথ বেছে নিলেন তিনি, তা ভেবেই পাচ্ছেন না পরিবারের লোকেরা।