রবিবার আসানসোলের কুলটি ব্লকে একটি কর্মিসভার আয়োজন করেন তৃণমূলের কয়েক জন নেতা। নিজস্ব চিত্র।
এ বার পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে শাসক তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল। নিজেদের ‘বঞ্চিত’ বলে দাবি করে জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন ‘বিক্ষুব্ধ’রা। জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে অবশ্য গোষ্ঠীকোন্দলের বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে।
রবিবার আসানসোলের কুলটি ব্লকে একটি কর্মিসভার আয়োজন করেন তৃণমূলের কয়েক জন নেতা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন প্রাক্তন কাউন্সিলর বাচ্চু রায়চৌধুরী, প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বিমান আচার্য এবং প্রাক্তন রাজ্য যুবনেতা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তাঁদের অভিযোগ, দলের কাজকর্ম থেকে বাদ রাখা হচ্ছে পুরনো নেতা-কর্মীদের। দলীয় কর্মসূচির ব্যাপারের তাঁরা সম্পূর্ণ অন্ধাকারে থাকেন। বাচ্চু বলেন, ‘‘পুরনো কর্মীদের বাদ দিয়ে নতুনদের বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন নেতৃত্ব। তাঁদেরই কমিটিতে রাখা হচ্ছে। পুরনোরা কেউ কমিটিতে জায়গা পান না। কোনও বৈঠক, সভা বা মিছিলের খবরও দেওয়া হয় না পুরনো কর্মীদের।’’ ‘বিক্ষুব্ধ’দের দাবি, জেলার শীর্ষ নেতৃত্বকে এ বিষয়ে বার বার জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। তাঁরা উদাসীনই থেকেছেন এ ব্যাপারে।
এ বিষয়ে জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ব্লক সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কলকাতা থেকে। পাত্তা সবাইকেই দেওয়া হয়। তবে যাঁদের সভা করলেন, তাঁদের গত পুরসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে মিলে কাজ করতে দেখা গিয়েছিল। দলের জন্য যাঁরা কাজ করবেন, দল তাঁদের পাশেই থাকবে।’’
এই ঘটনায় তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। জেলা কংগ্রেসের সভাপতি দেবের চক্রবর্তী বলেন, ‘‘তৃণমূল এই ভাবেই ঝরে পড়ে যাবে। কারণ তারা বিভিন্ন দল ভাঙিয়ে নিজের দলকে বড় করেছিল। আজ এই দলের এমন পরিস্থিতি হওয়ারই ছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy