Advertisement
E-Paper

বার্নপুরে পুড়ে ছাই বারোটি দোকান

দমকল সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত পৌনে ২টোয় অগ্নিকাণ্ড ঘটে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে তিনশো মিটার দূরের হিরাপুর থানা থেকে পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে যান

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:৫৪
দাউদাউ: বাঁ দিকে জ্বলছে দোকান। ডান দিকে অগ্নিকাণ্ডের পরে এলাকা। ছবি: পাপন চৌধুরী

দাউদাউ: বাঁ দিকে জ্বলছে দোকান। ডান দিকে অগ্নিকাণ্ডের পরে এলাকা। ছবি: পাপন চৌধুরী

গভীর রাতে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল আসানসোল পুরসভার ৮০ নম্বর ওয়ার্ডের বার্নপুরের আপার রোডের প্রায় বারোটি ঝুপড়ি দোকান। ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের একটি দলীয় কার্যালয়ও। শুক্রবার রাতের ঘটনা। ইস্কোর দু’টি ও রাজ্য দমকলের দু’টি ইঞ্জিনের প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। দোকানদারের এই ঘটনার নেপথ্যে নাশকতার অভিযোগ করেছেন। ইস্কো সূত্রে জানা যায়, তাদের মালিকানাধীন জমিতেই ওই দোকানগুলি ও কার্যালয়টি তৈরি করা হয়েছিল।

দমকল সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত পৌনে ২টোয় অগ্নিকাণ্ড ঘটে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে তিনশো মিটার দূরের হিরাপুর থানা থেকে পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। খবর দেওয়া হয় দমকলে। আসেন এলাকাবাসীও। দোকান মালিকদের অভিযোগ, দমকল পৌঁছনোর আগেই আগুন ভয়াবহ আকার নেয়। দমকলের হিসেবে প্রায় এক ডজন দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এ দিনের অগ্নিকাণ্ডের পরে নাশকতার অভিযোগ তুলেছেন দোকানদারেরা। এই অভিযোগে তাঁরা বিক্ষোভও দেখান। বিক্ষোভে যোগ দেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর বিনোদ যাদব। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

দোকানদারেরা জানান, গত দু’বছরে ওই এলাকায় এ ভাবে প্রায় পাঁচ বার অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। শেষ বার অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল গত বছর ৩১ ডিসেম্বর। সে বার পাঁচটি দোকান পুড়ে ছাই হয়। এ দিনের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ দোকানের মালিকেরা বলেন, ‘‘বারবার এ ভাবে আগুন ধরতে পারে না। আমাদের এলাকা থেকে উচ্ছেদের জন্য চক্রান্ত করে আগুন ধরানো হচ্ছে।’’ একই কথা বলেন স্থানীয় কাউন্সিলর বিনোদবাবুও। তাঁর কথায়, ‘‘আমি নিশ্চিত এই ঘটনার নেপথ্যে চক্রান্ত রয়েছে। বারবার এ ভাবে আগুন ধরিয়ে গরিব মানুষের রুটি-রুজি বন্ধের চেষ্টা চলছে।’’ এ দিন পুলিশের সঙ্গে দেখা করে তিনি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করারও দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি, আসানসোল পুরসভার মেয়রের কাছেও বিষয়টি জানিয়ে পদক্ষেপ করার জন্য আর্জি জানাবেন বলে জানিয়েছেন বিনোদবাবু। তবে নাশকতা কে বা কারা ঘটিয়েছেন বা ঘটাচ্ছেন, সে বিষয়ে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি বিনোদবাবু এবং দোকানদারেরা। দমকলের আসানসোল শাখার আধিকারিক দেবায়ন পোদ্দার বলেন, ‘‘কেন অগ্নিকাণ্ড, তা জানার চেষ্টা চলছে। তবে, প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল। প্রতিটি দোকান বাঁশ, টিনের চাল আর বেড়া দিয়ে তৈরি বলে দ্রুত আগুন ছড়ায়। তবে কেউ হতাহত হননি।’’

মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, ‘‘ক্ষতিগ্রস্তেরা থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ তদন্ত করবে।’’ হিরাপুর থানা জানায়, সন্ধ্যা পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি।

Fire Hubris Burnpur
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy