Advertisement
E-Paper

Khori river: খড়ি নদী সংস্কারের আবেদন গ্রামবাসীর

একসময় আউশগ্রাম ২-এর কোটা, বলরামপুরের মতো বিভিন্ন জায়গার জল এসে জমা হত বুদবুদের মানকর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মাড়ো গ্রামের একটি জলাশয়ে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২২ ০৬:৪২
এখানেই খড়ি নদীর উৎপত্তিস্থল।

এখানেই খড়ি নদীর উৎপত্তিস্থল। নিজস্ব চিত্র

গ্রামের বাইরে একটি জায়গা থেকে উৎপত্তি নদীর। তা চলে গিয়েছে গ্রামের ভিতরের একটি অংশ দিয়ে। বছরভর নদীতে জল থাকে না। কিন্তু, বর্ষায় খড়ি নদীর জলে বুদবুদের বহু কৃষিজমি প্লাবিত হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নদীটি সংস্কারের অভাবে মজে যেতে বসেছে। তাই এই হাল। গলসি ১ পঞ্চায়েত সমিতি জানিয়েছে, নদী সংস্কারে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একসময় আউশগ্রাম ২-এর কোটা, বলরামপুরের মতো বিভিন্ন জায়গার জল এসে জমা হত বুদবুদের মানকর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মাড়ো গ্রামের একটি জলাশয়ে। সেখান থেকেই খড়ি নদীর উৎপত্তি। মাড়ো গ্রামের গোয়ালাপাড়া হয়ে এই নদী চলে গিয়েছে বুদবুদের সাধুনগর এবং বুদবুদ বাইপাসের পাশ দিয়ে গলসি, আউশগ্রাম হয়ে নাদনঘাটে। সেখানেই সেটি ভাগীরথীতে মিশেছে। এলাকাবাসী জানান, সেচখাল তৈরি হওয়ায় আউশগ্রাম ২-এর ওই গ্রামগুলির জল সেচখালেই পড়তে থাকে। ফলে, নদীটিও আস্তে-আস্তে শুকিয়ে যেতে থাকে। মাড়ো গ্রামের বাসিন্দা অম্বরীশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “খড়ি বরাবরই শান্ত নদী। এক সময় এই নদীর পাড়ে মকর সংক্রান্তির দিন মেলাও বসত। কিন্তু এখন নদীটির অবস্থা খুবই খারাপ।” খারাপ কেন? স্থানীয় সূত্রে জানা গেল, সংস্কারের অভাবে নদীটি মজে যেতে বসেছে। বর্ষায় চতুর্দিকের জল খড়ির নদীবক্ষে এসে পড়ে। কিন্তু গতিপথ মজে যাওয়ায় সেখানের জল ভাসিয়ে দেয় লাগোয়া কৃষিজমি। স্থানীয় চাষি বাপ্পাদিত্য রায়, সঞ্জয় রুইদাসরা বলেন, “খড়ির বেশির ভাগ অংশই মজে গিয়েছে। ফলে, দ্রুত দরকার নদী সংস্কার। এলাকার ইতিহাস রক্ষার জন্যও এটা করা দরকার।”

গলসি ১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি অনুপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “নদীটি সংস্কারের বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে। তবে উৎপত্তিস্থলটি মাঝেমধ্যেই সংস্কার করা হয়।”

Budbud River
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy