পূর্ব মেদিনীপুরের বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ নিয়ে ডিওয়াইএফআই নেতৃত্ব। নিজস্ব চিত্র।
শারদোৎসবে সপ্তমীর রোশনী-সন্ধ্যায় মোমবাতি জ্বলল প্রাণ হারানো কৃষকদের স্মরণে। উঠে এল বৃহত্তর প্রতিবাদের ডাক।
উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেড়িতে গাড়ির চাকায় পিষে যে চার কৃষক ও এক সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের কথা মনে রেখেই মঙ্গলবার সারা দেশে ‘শহিদ স্মরণ দিবসের’ ডাক দেওয়া হয়েছিল। মৃতদের স্মরণ করার পাশাপাশি ঘটনায় দোষীদের দ্রুত শাস্তি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের পদত্যাগের দাবি নিয়ে ছিল এই কর্মসূচি। কৃষক সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির রাজ্য শাখার উদ্যোগে এ রাজ্যেও এ দিন পালিত হয়েছে ‘শহিদ স্মরণ’। জেলায় জেলায় প্রদীপ ও মোমবাতি জ্বেলে, শহিদ বেদি তৈরি করে মৃতদের স্মরণ করা হয়েছে। বিভিন্ন পুজো মণ্ডপের আঙিনায় বামপন্থীদের যে পুস্তক বিপণি চলছে, সেখানেও শহিদ স্মরণের আয়োজন হয়েছিল। কলকাতায় মৌলালি, শ্যামবাজার, ডানলপ-সহ নানা জায়গায় এবং বাইরে বালি, কোন্নগর, অশোকনগর, করিমপুরের মতো বিভিন্ন এলাকায় মোমবাতি জ্বেলে সন্ধ্যায় কৃষকদের প্রতিবাদের প্রতি সংহতি জানানো হয়েছে। পুজো দেখতে আসা মানুষও শামিল হয়েছিলেন ‘শহিদ স্মরণে’। মৌলালিতে উপস্থিত ছিলেন সিপিআই (এম-এল) লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য এবং সমন্বয় কমিটির রাজ্য শাখার সম্পাদক কার্তিক পাল। কমিটির তরফে কার্তিকবাবু এবং আহ্বায়ক অমল হালদার জানিয়েছেন, কৃষক-হত্যার সুবিচার না পেলে আগামী ১৮ অক্টোবর সারা দেশের সঙ্গে রাজ্যেও নানা জায়গায় রেল অবরোধ হবে। কৃষক মহাপঞ্চায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছে ২৬ তারিখ।
উৎসবের মরসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপন্ন মানুষের কাছেও পৌঁছনোর চেষ্টা করেছেন বামপন্থী নেতা-কর্মীরা। পূর্ব মেদিনীপুরের বন্যা কবলিত এলাকায় এ দিন ত্রাণ নিয়ে গিয়েছিলেন সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য নেতৃত্ব। ছিলেন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে হোগল নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ২৯টি পরিবারের কাছে এ দিনই গিয়েছিলেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী এবং আরএসপি নেতা সুভাষ নস্কর। ঘর হারিয়ে ওই পরিবারগুলিকে এখন শিবির করে দিন কাটাতে হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy