Advertisement
E-Paper

বিজেপির অভিযানে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র

বলবিন্দরের থেকে পাওয়া বন্দুকের লাইসেন্স যাচাই করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ২০০৯ সালের গোড়ায় রাজৌরি জেলার জেলাশাসক সেটি ইস্যু করেছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২০ ০৬:০৯
বাঁ দিকে, ধৃত বলবিন্দর সিংহ। ডান দিকে, উদ্ধার হওয়া সেই আগ্নেয়াস্ত্র। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক ও শান্তনু ঘোষ

বাঁ দিকে, ধৃত বলবিন্দর সিংহ। ডান দিকে, উদ্ধার হওয়া সেই আগ্নেয়াস্ত্র। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক ও শান্তনু ঘোষ

নবান্ন অভিযানে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে এক জনের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র মেলায় অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। যাঁর কাছে ওই আগ্নেয়াস্ত্র মিলেছে, তিনি বাংলার লোকও নন। এমনকি, আগ্নেয়াস্ত্রটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত হলেও একমাত্র জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরি জেলার মধ্যেই সেটি সঙ্গে বহন করার কথা।

ফলে এক দিকে আইনের চোখে অবৈধ কাজ, অন্য দিকে মিছিলে ‘বহিরাগত’ ঢোকানোর অভিযোগ— এই জোড়া ফলায় বিদ্ধ হচ্ছে বিজেপি।

এ দিন হাওড়া ময়দান এলাকায় যে ব্যক্তির কাছ থেকে গুলিভর্তি আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার হয় তাঁর নাম বলবিন্দর সিংহ। পঞ্জাবের ভাটিন্ডা জেলার বাসিন্দা বলবিন্দর এ দিনের মিছিলে বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্য প্রিয়াঙ্গু পাণ্ডের সঙ্গে ঘুরছিলেন। প্রিয়াঙ্গু বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘‘প্রিয়াঙ্গু পাণ্ডের ব্যক্তিগত দেহরক্ষীর কাছ থেকে তাঁর লাইসেন্স-যুক্ত বন্দুক পুলিশ নিয়ে নিয়েছে। আমারও তো দেহরক্ষীরা আছেন! তাঁদের কাছেও তো লাইসেন্সযুক্ত বন্দুক আছে! এই বিষয়টা তুলে আমাদের দলের বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে।’’ দলের সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু আরও এক ধাপ এগিয়ে বলেন, “এখন দেশের মধ্যে যে কোনও জায়গার লাইসেন্স থাকলেই সেটি সারা দেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এ ব্যাপারে নতুন আইন হয়েছে।” যদিও সেই আইনের কোনও বিশদ ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন: বিজেপির তিরে পুলিশ, ‘গুন্ডার দল’ বলল তৃণমূল

এই পরিপ্রেক্ষিতেই বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “একটা ভাত টিপলেই যেমন বোঝা যায় সব ভাত সিদ্ধ হয়েছে কি না, তেমনই এমন ধরনের বেআইনি অস্ত্রধারী কত জন ব্যক্তি ভিড়ের মধ্যে ঘুড়ে বেড়িয়েছেন তা সহজে অনুমান করা সম্ভব। বিজেপি যে সশস্ত্র বহিরাগতদের এনে বাংলায় অশান্তি এবং দাঙ্গার রাজনীতি করে, আজ সেটা ধরা পড়ে গেল।” তাঁর আরও মন্তব্য, “বিজেপি নেতাদের কথায় এটাও পরিষ্কার যে, ওই ব্যক্তি ব্যারাকপুরে তাঁদের দলের কোনও নেতার ঘনিষ্ঠ। সেখানে খুনের রাজনীতি কে, কী ভাবে আমদানি করছে, তার আরও কিছু হদিশ হয়তো এ বার মিলতে পারে।”

আরও পড়ুন: ‘হামলায়’ অভিযুক্ত বিজেপি

বলবিন্দরের থেকে পাওয়া বন্দুকের লাইসেন্স যাচাই করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ২০০৯ সালের গোড়ায় রাজৌরি জেলার জেলাশাসক সেটি ইস্যু করেছিলেন। ‘ডিবিবিএল গান’ (ডাবল ব্যারেল শটগান) লাইসেন্সটির কার্যকারিতা ওই জেলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। ২০১২ সালের মার্চ মাসে উধমপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসকের নির্দেশে অস্ত্রের চরিত্র বদলে রিভলভার বা পিস্তল করা হয়। ২০১৮ সালের মে মাসে লাইসেন্সধারী ব্যক্তি .৩২ ওই পিস্তলটি কিনেছিলেন। পুনর্নবীকরণের পরে লাইসেন্সটি ২০২১ সালের ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত বৈধ।

BJP's Nabanna March BJP Nabanna Firearms Pistol
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy