Advertisement
০২ মে ২০২৪
SSC Scam case

‘বিনিদ্র রাত্রি কাটাতেই হবে’, নবম-দশম দুর্নীতি মামলায় কেন এমন মন্তব্য বিচারপতি বসুর?

নবম, দশম শ্রেণির একাধিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করে চাকরি পেয়েছেন তাঁরা। নিয়োগে যে কারচুপি হয়েছে, তা স্বীকার করে নিয়েছে এসএসসি।

Calcutta High Court comments on SSC scam case ahead of the verdict.

নবম দশমের নিয়োগ দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার আগে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। ফাইল ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২৩ ১৩:১৭
Share: Save:

শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে গিয়ে কি নির্দোষদেরও ভুগতে হচ্ছে? নবম ও দশম শ্রেণির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সেই প্রশ্ন উঠল কলকাতা হাই কোর্টে। যার প্রেক্ষিতে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর মন্তব্য, ‘‘কিছু বিনিদ্র রাত্রি তো কাটাতেই হবে।’’

স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) দ্বারা নিযুক্ত নবম, দশম শ্রেণির একাধিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, তাঁদের নিয়োগে কারচুপি হয়েছে। যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করে চাকরি পেয়েছেন তাঁরা। এখনও পর্যন্ত তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা না হলেও এসএসসির তরফে ৬১৮ জন শিক্ষকের নাম ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে আগামী দিনে পদক্ষেপ করা হবে।

দুর্নীতিতে অভিযুক্ত এই শিক্ষকদের হয়ে মামলা লড়ছেন আইনজীবী প্রতীক ধর। তিনি আদালতে প্রশ্ন তোলেন, দুর্নীতি দূর করতে গিয়ে অন্য কোনও অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে না তো?। আইনজীবীর যুক্তি, যাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তাঁরা ছাড়াও তাঁদের পরিবার এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কারও স্ত্রী হেনস্থার মুখে পড়ছেন, কারও সন্তান হেনস্থার ভয়ে স্কুলে যেতে পারছে না। দুর্নীতির সুবিধা না নিলেও তাঁদের এ ভাবে ভুগতে হচ্ছে।

আইনজীবীর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি জানান, ‘‘চাকরি থেকে বরখাস্ত করা নিয়ে আদালতের কোনও তাড়া নেই। এই দুর্নীতিতে অনেকে যুক্ত আছেন। তাই কিছু বিনিদ্র রাত্রি তো কাটাতেই হবে।’’

আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি বসু আরও বলেন, ‘‘এটাও মেনে নিতে হবে, আমরা যে সমাজে বাস করি, সেখানে এর থেকে রেহাই পাওয়া মুশকিল। সহানুভূতি চাইবেন না। কিছু ক্ষণ পরেই ডিভিশন বেঞ্চ রায় ঘোষণা করবে। সবাই সে দিকেই তাকিয়ে। তার পর দেখা যাক কী হয়।’’

নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মোট ৯৫২ জনের উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট উদ্ধার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তাঁদের মধ্যে ৮০৫ জনের উত্তরপত্রে দুর্নীতির কথা স্বীকার করে নিয়েছে এসএসসি। তার পর ৬১৮ জনের নাম প্রকাশ করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার সেই মামলায় রায় ঘোষণা করবে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতীম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE