Advertisement
E-Paper

‘এখন আর মামলা শুনে কী হবে?’ শুভেন্দুর ‘সনাতনী সম্মেলন’ নিয়ে রাজ্যের আবেদনে মন্তব্য হাই কোর্টের

বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, বুধবার সকাল ৭টায় ওই অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় মামলার কী গুরুত্ব আছে?

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ১১:৩৫

—ফাইল চিত্র।

দিঘায় যখন জগন্নাথধামের উদ্বোধনী প্রক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন কাঁথিতে ‘সনাতনী হিন্দু সম্মেলন’ করার আয়োজনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি যখন সম্মেলনে ভাষণ দিচ্ছেন, তখন ওই সম্মেলন নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্যের আবেদন, দ্রুত শুনানি করা হোক।

কিন্তু বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, বুধবার সকাল ৭টায় ওই অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় মামলার কী গুরুত্ব আছে? হাই কোর্ট এ-ও জানায় মামলার কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। অনুষ্ঠান শুরুর পর প্রায় চার ঘণ্টা পার হয়ে গিয়েছে, এই অবস্থায় আদালতের আর কী করার থাকতে পারে? যদিও রাজ্যের বক্তব্য, সঠিক বিচার পেতেই সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। কেন পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করা হল না, এই সওয়াল করে রাজ্য। শেষমেশ আদালত জানায়, সাড়ে ১১টায় মামলা শোনা হবে। এই সময়ের মধ্যে বিপরীত পক্ষকে হাজির থাকতে হবে।

বুধবার দুপুরে দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই একই দিনে কয়েক কিলোমিটার দূরে কাঁথিতে ‘সনাতনী হিন্দু সম্মেলন’ করতে চেয়ে পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েছিল একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। পুলিশ অনুমতি না দেওয়ার তারা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়। গত সপ্তাহে এই মামলা শুনানিতে বিচারপতি ঘোষ রাজ্যের অবস্থান জানতে চেয়েছিলেন। রাজ্য জানায়, ৩০ এপ্রিলের এই কর্মসূচিতে তাদের আপত্তি রয়েছে। এর পর সোমবার বিচারপতি ঘোষের এজলাসে এই মামলার শুনানি ছিল। রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়, ওই দিন মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি রয়েছে। সেটি একটি বড় অনুষ্ঠান। বিভিন্ন ‘ভিভিআইপি’ অতিথি আসবেন। সেখানে নিরাপত্তাজনিত কারণে প্রচুর পুলিশকর্মী প্রয়োজন।

এই পরিস্থিতিতে একই দিনে কাঁথিতে সভা করার অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছিলেন রাজ্যের আইনজীবী। কিন্তু রাজ্যের আপত্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মামলাকারীর আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য। দিঘা থেকে কাঁথির দূরত্বের বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন তিনি। তাঁর বক্তব্য ছিল, একই জেলায় হলেও দিঘা থেকে কাঁথির দূরত্ব অনেকটাই। দিঘায় কোনও কর্মসূচি হলে জেলার অন্য জায়গায় বাকিরা কেন কোনও কর্মসূচি করতে পারবেন না? দীর্ঘ ক্ষণ শুনানির পর বিচারপতি ঘোষ নির্দেশ ঘোষণা স্থগিত রেখেছিলেন। মঙ্গলবার শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দেন তিনি। সেই নির্দেশই চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য।

‘হিন্দু সম্মেলন’ নিয়ে সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানি বুধবার দুপুর ১টায় করা হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি সেন।

Calcutta High Court West Bengal Suvendu Adhikari
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy