Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus in West Bengal

সেই ট্রেনে ছিলেন, হাসপাতালে যুবতী

রবিবার সকালে নদিয়ার শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে যান পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার ওই যুবতী।

রয়টার্সের প্রতীকী ছবি।

রয়টার্সের প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২০ ০৩:৩৪
Share: Save:

নির্দেশ না মেনে তথ্য গোপন করে ঘুরে বেড়িয়েছেন, রাজ্যে একাধিক করোনা আক্রান্তের বিরুদ্ধে উঠেছে এমন অভিযোগ। বিদেশ-ফেরত ওই রোগীদের সচেতনতার অভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। উল্টো পথে হেঁটে এ বার নিজেই হাসপাতালে হাজির হলেন এক যুবতী। জানালেন, তেহট্টের যে পাঁচ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে লালগোলা প্যাসেঞ্জারে বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি।

রবিবার সকালে নদিয়ার শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে যান পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার ওই যুবতী। তবে চিকিৎসকেরা জানান, তাঁর করোনার উপসর্গ মেলেনি। তবে তাঁকে কৃষ্ণনগরের কোয়রান্টিন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। তেহট্টের আক্রান্তদের সঙ্গে একই ট্রেনে ফেরা আরও দু’জনকে চিহ্নিত করে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে মুর্শিদাবাদের লালগোলায়।

কাটোয়ার চরকবিরাজপুরের বছর চব্বিশের ওই যুবতী দিল্লিতে সিআরপি জওয়ান হিসাবে কর্মরত। পারিবারিক একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি বাড়ি ফিরেছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তিনি জানান, ২০ মার্চ লালগোলা প্যাসেঞ্জারে তেহট্টের ওই পরিবারের সঙ্গে একই কামরায় ফিরেছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, পাশাপাশি বসে গল্প করার ফাঁকে ন’মাসের শিশুকে কোলেও নিয়েছিলেন। তার পরে কৃষ্ণনগর স্টেশনে নেমে বাড়ি চলে যান। শনিবার ওই শিশু-সহ পরিবারটির পাঁচ জনের আক্রান্ত হওয়ার কথা জানার পরে নিজেই হাসপাতালে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

তেহট্টের পরিবারের সঙ্গে লালগোলা প্যাসেঞ্জারের একই কামরায় ফেরা দুই ব্যক্তির খোঁজ মিলেছে মুর্শিদাবাদে। পুলিশ জানায়, তাঁরা লালগোলার কৃষ্ণপুর ভাটাপাড়া ও কৃষ্ণপুর হাটপাড়ার বাসিন্দা। শনিবার বিকেলে তাঁদের বাড়ি থেকে লালগোলার কোয়রান্টিন কেন্দ্রে পাঠান পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা। লালগোলা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্য সাহা বলেন, ‘‘দু’জনেরই করোনার কোনও লক্ষণ এখনও দেখা যায়নি।’’

কাটোয়ার যুবতী যে সচেতনতা দেখিয়েছেন, তাতে খুশি স্বাস্থ্যকর্তারা। নদিয়ার উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসিত দেওয়ান বলেন, ‘‘ওই মহিলা যে ভাবে নিজে এগিয়ে এসেছেন, সেই সচেতনতা সকলেরই দেখানো উচিত। তবেই এই বিপদ থেকে রেহাই মিলবে।’’ তেহট্টের পরিবারটি লন্ডন-ফেরত যে যুবকের থেকে সংক্রামিত হয়েছে, তাঁর বাবা রবিবার কোয়রান্টিন কেন্দ্র থেকে বলেন, ‘‘আমরা জেনেবুঝে কিছু করিনি। তবে বিদেশ ফেরত ছেলেকে গৃহবন্দি রাখার নিয়ম না মানা আমাদের ভুল হয়েছিল।’’

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE