গ্রাফিক: নিরূপম পাল
চারশোর গণ্ডি ছাড়ানোর পরের দিন সোমবার রাজ্যে ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আবার সাড়ে তিনশোর কাছাকাছি। কিন্তু নমুনা পরীক্ষা কমেছে প্রায় সাড়ে চার হাজার। বেড়েছে সংক্রমণের হার।
সোমবার রাতে স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬৮ জন। রবিবার এই সংখ্যা ছিল ৪২২। রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লক্ষ ৫৮ হাজার ৯৯৯। রাজ্যের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন কলকাতায় (১২৮ জন)। দ্বিতীয় স্থানে থাকা উত্তর ২৪ পরগনায় নতুন আক্রান্ত ৭৯ জন। এ ছাড়া রাজ্যের আর কোনও জেলায় ২৪ ঘণ্টায় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৫০-এর গণ্ডি ছাড়ায়নি।
রবিবারের বুলেটিন অনুযায়ী নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ২০ হাজার ৬৬৫। সেখানে সোমবার এই সংখ্যা কমে হয়েছে ১৬ হাজার ৮। অর্থাৎ নমুনা পরীক্ষা কমেছে ৮ হাজার ৬৫৭। কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা সেই হারে কমেনি। স্বাভাবিক ভাবেই বেড়েছে সংক্রমণের হার। প্রতিদিন যত সংখ্যক নমুনা পরীক্ষা হয় এবং তার মধ্যে যতগুলি পজিটিভ রিপোর্ট আসে, তার শতকরা হারকেই বলা হয় ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার। রবিবারের বুলেটিনে এই হার ছিল ২.০৪। সোমবার তা বেড়ে এক লাফে পৌঁছে গিয়েছে ২.৩-এ।
সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গত রবিবার কোভিড টিকা দেওয়া হয়েছে মাত্র ১৮ হাজার ৭৮৫ জনকে। শনিবার এই সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ৪৬২। রবিবার পর্যন্ত রাজ্যে মোট টিকা দেওয়া হয়েছে ৩৬ লক্ষ ৪৯ হাজার ৭০৫ জনকে।
রবিবার কোভিডে মৃত্যু হয়েছিল ৩ জনের। সোমবার মারা গিয়েছেন ২ জন। মৃতদের এক জন কলকাতার, এক জন হুগলির।
করোনার সংক্রমণ কমতির পর্বে কখনও সংক্রমণের হার কমেছে, কখনও বেড়েছে। কিন্তু একমাত্র সুস্থতার হারই একমাত্র সূচক ছিল, যা টানা ঊর্ধ্বমুখী ছিল। সেই প্রবণতায় উল্টো ধারা শুরু হয়েছে ১৭ মার্চ থেকে। তার আগের দিন ১৬ মার্চ সুস্থতার হার ছিল ৯৭.৬৮। ১৭ মার্চ তা কমে দাঁড়ায় ৯৭.৬৭। তার পর থেকে প্রতিদিন কমতে কমতে সোমবার এই হার নেমেছে ৯৭.৬১-এ। সোমবার সুস্থ হয়েছেন ২৯৬ জন। এই নিয়ে রাজ্যে মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫ লক্ষ ৬৭ হাজার ১১৭ জন। সোমবার পর্যন্ত সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৫৭৪।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy