রাজ্য রাজনীতিতে সে ভাবে সক্রিয় না থাকলেও,পশ্চিমবঙ্গের সিপিএম নেতৃত্বের কাছে বুদ্ধদেব এখনও অভিভাবকসম। তাই সেলিমের বদলে যদি অন্য কেউ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক হতেন, তাঁকেও পাম এভিনিউয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে আসতেই হত বলে মত আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের একাংশের।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করে বেরোচ্ছেন মহম্মদ সেলিম।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক হওয়ার পর এই প্রথম প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন মহম্মদ সেলিম। রবিবার সন্ধ্যায় রাজ্য সিপিএমের সদর দফতর আলিমুদ্দিন স্ট্রিট থেকে তিনি রওনা দেন বুদ্ধদেবের পাম অ্যাভিনিউয়ে বাড়ির উদ্দেশে। সন্ধ্যে ৭টার কিছু পরে সেখানে পৌঁছন তিনি। ঘন্টাখানেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ছিলেন সেলিম। পরে তাঁর বাড়ি থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের কোনও প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই ফিরে যান তিনি।
১৭ মার্চ সিপিএমের রাজ্য সম্মেলনের শেষ দিন যাবতীয় হিসেব-নিকেশ উল্টে দিয়ে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মনোনীত হন সেলিম। রাজনীতির কারবারিদের একাংশের মতে, রাজ্য রাজনীতিতে সে ভাবে সক্রিয় না থাকলেও,পশ্চিমবঙ্গের সিপিএম নেতৃত্বের কাছে বুদ্ধদেব এখনও অভিভাবকসম। তাই সেলিমের বদলে যদি অন্য কেউ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক হতেন, তাঁকেও পাম এভিনিউয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে আসতেই হত বলে মত আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের একাংশের।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি যাওয়া প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনকে সেলিম বলেন, ‘‘বুদ্ধদা এবং মীরাদির সঙ্গে আমার সম্পর্ক বহু বছরের। তাঁদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক কেবল রাজনৈতিক নয়, পারিবারিকও বটে। তাই সেখানে কী কথা হয়েছে তা প্রকাশ্যে বলা ঠিক নয়।’’সঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি মাঝেমধ্যে বুদ্ধদার বাড়িতে যাই। সে ভাবেই আজও গিয়েছিলাম। এখন হয়তো আপনার জানতে পারছেন। আমি কিন্তু কাউকে জানিয়ে যাইনি।’’
প্রসঙ্গত, সিপিএমের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বুদ্ধবাবুর কাছের মানুষ বলেই পরিচিত সেলিম। তাই রাজ্য সম্পাদক পদে দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর তাঁর বুদ্ধদেববাবুর কাছে যাওয়াটাই স্বাভাবিক বলে মনে করছেন রাজ্য রাজনীতির কারবারিরা। কারণ, সেলিম দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে রাজ্য রাজনীতিতে একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে। ফলে কখনও হাওড়ার আমতায় নিহত ছাত্রনেতা আনিস খানের বাড়িতে যেতে হয়েছে তাঁকে। কখনও আবার ছুটে যেতে হয়েছে বীরভূমের রামপুরহাটে ঘটে যাওয়া গণহত্যার ঘটনাস্থলে। তাই রবিবার সন্ধ্যায় একটু সময় পেতেই সেলিম গেলেন বুদ্ধদেবের বাড়িতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy