পথে পথে: দিল্লিতে হিংসার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার হাজরা থেকে মেয়ো রোডের গাঁধী-মূর্তি পর্যন্ত মিছিল করল তৃণমূেলর মহিলা শাখা। মিছিল শেষে জ্বালানো হল মোমবাতিও। নিজস্ব চিত্র
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসার ২৪ ঘন্টা আগে দিল্লির হিংসা নিয়ে তীক্ষ্ণ প্রতিক্রিয়া জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘বিচলিত, শঙ্কিত, উদ্বিগ্ন। হৃদয় আমার ক্রন্দনরত। মৃত্যুমিছিল বেড়ে গেল।’
আজ ভুবনেশ্বর পূর্বাঞ্চলীয় আন্তঃরাজ্য পরিষদের বৈঠকে শাহের সঙ্গে মমতার মুখোমুখি দেখা হবে। তাঁদের মধ্যে একান্ত আলোচনা হোক বা না হোক, আনুষ্ঠানিক বৈঠকে দু’জনের দেখা হওয়ার ঠিক আগে দিল্লির ঘটনা নিয়ে মমতার কঠোর বক্তব্য রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।
নাগরিকত্ব নিয়ে আন্দোলনে ইতিমধ্যেই মমতা পথে নেমেছেন। তাঁর দলও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। দিল্লির সাম্প্রতিক হিংসার বিরুদ্ধেও মুখ খুলেছেন মমতা। তাঁর নির্দেশেই এদিন দিল্লির ঘটনা নিয়ে তৃণমূলের মহিলা শাখা কলকাতায় শান্তি মিছিল করে। হাজরা থেকে গাঁধী মূর্তি পর্যন্ত এই মিছিলে অংশ নেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী প্রমুখ।
এই আবহে মমতা এদিন তাঁর ফেসবুক বার্তায় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভারত সফরকেও কৌশলে টেনে এনেছেন। ভারতে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘‘মোদী শান্ত এবং ধার্মিক। ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়ে মোদী অসাধারণ কাজ করছেন। তিনি এ ব্যাপারে উদার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই চলেন। অন্য অনেক জায়গার থেকে ভারতের পরিস্থিতি এ ব্যাপারে ভাল।’’
ফেসবুকে সরাসরি কারও নাম না করে মমতা লিখেছেন, ‘তিনি এলেন, বললেন এবং চলে গেলেন। আমার মাতৃভূমি জ্বলতে থাকল।’ উল্লেখ্য ট্রাম্প যেদিন আমদাবাদ হয়ে তাজমহল সফর সেরে দিল্লি পৌঁছান সেদিনই নাগরিকত্ব আন্দোলন ঘিরে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়। যার জেরে মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy