ড্রাগন ফ্রুটের রংটি আকর্ষণীয়। আগুন-লাল রঙা ফলের বাইরে কিছু ভাঁজের মতো থাকে। মাঝামাঝি কাটলে চামচ দিয়ে ভিতরের শাঁস তুলে খাওয়া যায়। এতে ডায়েটারি ফাইবার, ভিটামিন সি এবং নানা খনিজ লবণ থাকলে ক্যালোরি রয়েছে কম। শাঁসে কালো বীজ থাকে যা থেকে চারা করা যায়।
আবহাওয়া ও মাটি
উষ্ণ এবং আর্দ্র আবহাওয়ায় ও রাঢ় অঞ্চলে এর চাষ ভাল হবে। অন্য জেলাতেও করা সম্ভব। তবে আর্দ্রতা বেশি থাকলে রোগপোকার আক্রমণ হতে পারে। খুব অম্ল-ক্ষার মাটি ছাড়া সব জমিতেই চাষ করা যেতে পারে। দেখতে হবে মাটিতে যেন কোনও ভাবেই জল না দাঁড়ায়।
জাত নির্বাচন
এ রাজ্যের পরিপ্রেক্ষিতে সাদা, হলুদ ও লাল শাঁসযুক্ত ফলের চাষ করা চলবে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে এই জাত প্রকরণ চালু। তাই যে জাতটি ভালভাবে চাষ করা যাবে সেটিকে নিয়েই এগোতে হবে।
বংশবিস্তার
শাঁসে যে কালো বীজ থাকে তা আলাদা করে অন্য ফলের মতো মাটি মিশ্রণে বসিয়ে কালো পলিপ্যাকে ভরতে হবে। দুই সপ্তাহ পরে অঙ্কুর ও ২ মাস পরে চারা বেরোয়। চারা থেকে ক্যাকটাস বাড়তে ও নতুন লাগাতে পরিশ্রম আছে। তা সময়সাপেক্ষও।
চারা রোপণ
যেহেতু এটি ক্যাকটাস বা সাকুলেন্ট গোত্রের তাই খুব শীতে বা ভরা বর্যায় না লাগিয়ে বসন্তে বা প্রাক-বর্ষায় লাগানো উচিত। ফুট খানেক গর্তে ১০ কেজি গোবর বা কেঁচো সার, এক মুঠো হাড় গুঁড়ো ও ৫ গ্রাম দানা বিষ দিয়ে মাটি উঁচু করতে হবে। ফুট দশেকের দূরত্বে চারা বসাতে হবে। দেখতে হবে সারির দূরত্ব যেন ১২-১৩ ফুট হয়। ছ’মাস অন্তর আগে উল্লেখ করা সার প্রয়োগ করা জরুরি।
অন্য পরিচর্যা
গাছগুলি বড় হলে বাঁশ বা সিমেন্ট পোল দিয়ে ঠেকনা দিতে হবে। এ বার সেইগুলোর উপর দিয়ে গাছ বাইয়ে দিতে হবে। প্রয়োজনে মাঝেমধ্যে ডাল ছেঁটে গাছকে আয়ত্তে রেখে ঝোপের আকারে গড়ে তুলতে হবে।
ফলন ও ফল সংগ্রহ
২৬ মাস পর থেকে গাছে ফল আসবে। এর পর প্রতি বছর বর্ষায় ফল সংগ্রহ করতে হবে। একটি তিন বছরের বাগান থেকে বিঘায় সাত কুইন্টালের মতো ফলন মেলে। দাগ বা ধসার জন্য কপার অক্সিক্লোরাইড ৪ গ্রাম প্রতি লিটার জলে গুলে স্প্রে করতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy