পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন বসতে এ বার কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। কারণ প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনী (এসআইআর)-র কথা। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় শাসকদল তৃণমূলের পাশাপাশি রয়েছেন বিরোধীদল বিজেপির বিধায়কেরা। এ ছাড়াও ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের কারণে এই তিন দলই ব্যস্ত এসআইআর প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে। প্রশাসন সূত্রে খবর, এমন কথা জেনেই রাজ্য সরকারের তরফে বিধানসভার অধিবেশন খানিকটা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই শীতকালীন অধিবেশন হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার শেষ পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন। তাই শাসক, বিরোধী দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে এই অধিবেশনকে ব্যবহার করতে চাইছে।
পরিষদীয় দফতর সূত্রে খবর প্রথমে ঠিক ছিল, চলতি মাসের ১৪ তারিখ থেকে বিধানসভার অধিবেশন বসবে। পরে সেই সিদ্ধান্ত বদলে ঠিক হয় ২২ নভেম্বর থেকে শুরু হবে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন। কিন্তু রাজ্য জুড়ে এসআইআরের কাজ শুরু হয় ৪ নভেম্বর। চলবে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। যেহেতু নির্বাচন কমিশনের পাল্লা দিয়ে এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত রাজ্যসভা রাজনৈতিক দল, তাই ঠিক হয়েছে নভেম্বর মাসে নয়, ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে বসবে বিধানসভা শীতকালীন অধিবেশন। প্রায় দু’সপ্তাহের জন্য এই অধিবেশনের কাজকর্ম হবে। যদিও এ প্রসঙ্গে বিধানসভার সচিবালয় কিংবা পরিষদীয় দফতর কোনও মন্তব্য করতে নারাজ।
বিধানসভার এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘শীতকালীন অধিবেশনে রাজ্য সরকার কী কী বিল আনতে পারে, এবং কী ধরনের প্রস্তাবনা গৃহীত হতে পারে, সেই বিষয়টি নিয়ে এখন আইন দফতরের সঙ্গে নবান্নের আলোচনা চলছে। তাই অধিবেশন প্রসঙ্গে এখনই প্রকাশ্যে কিছু জানানো সম্ভব নয়।’’ প্রসঙ্গত, এই শীতকালীন অধিবেশনের পর আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসে বসবে চলতি বিধানসভার শেষ অধিবেশন। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করবে। সেই বিধানসভা অধিবেশন হতে পারে মাত্র এক সপ্তাহের জন্য।