Advertisement
E-Paper

শহরে মমতা, বিদ্যুৎ কর্তারা রাতভর তটস্থ

বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার রিজিওনাল ম্যানেজার চিরঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তেমন কিছু নয়। ওখানে (সার্কিট হাউসে) দু’টো সোর্স রয়েছে। একটা সোর্সে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তবে কোনও বিপত্তি ঘটেনি।”

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৮ ০১:৪৪
মেদিনীপুরে মুখ্যমন্ত্রী। ফাইল চিত্র

মেদিনীপুরে মুখ্যমন্ত্রী। ফাইল চিত্র

রাত তখন সাড়ে ১১টা। মেদিনীপুর সার্কিট হাউসের বাইরে হঠাৎই ব্যস্ততা। ছুটোছুটি করছেন বিদ্যুৎ দফতরের কর্তারা। ব্যাপার কী? কোনও বিপদ হল নাকি! সার্কিট হাউসের ভেতরে যে তখন রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

জানা গেল, অল্পের জন্য এড়ানো গিয়েছে বিপদ। কারণ, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ সার্কিট হাউসে বিদ্যুৎ সরবরাহে একটা সমস্যা হয়েছিল। সূত্রের খবর, সার্কিট হাউসে বিদ্যুতের দু’টো সোর্স রয়েছে। তাম মধ্যে একটা সোর্সে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। বাকি অন্য সোর্সে সমস্যা হলে লোডশেডিং ঘটার সম্ভাবনা ছিল। তাই সেই পরিস্থিতি এড়াতেই বিদ্যুৎ দফতরের কর্তাদের ছোটাছুটি। বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার রিজিওনাল ম্যানেজার চিরঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তেমন কিছু নয়। ওখানে (সার্কিট হাউসে) দু’টো সোর্স রয়েছে। একটা সোর্সে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তবে কোনও বিপত্তি ঘটেনি।”

মেদিনীপুর শহরে লোডশেডিং নতুন কিছু নয়। এক পশলা বৃষ্টি হলেও লোডশেডিং হয় শহরে। প্রতিদিনের মতো লোডশেডিং হয়েছে বৃহস্পতিবারও। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ সার্কিট হাউসে ঢুকে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাত ৮টা থেকে লোডশেডিং হয় কর্ণেলগোলা, গোলকুয়াচক, মীরবাজার-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায়। কোথাও বিদ্যুৎ এসেছে ১১টা, কোথাও আবার রাত ১২টায়। মেদিনীপুরে এখন ভিভিআইপিদের আনাগোনা। বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রী যখন শহরে তখনও এমন লোডশেডিং! আলোচনা চলছে শহরের অলি-গলিতে। শহরে পৌঁছে মমতা কখনও গিয়েছেন মেদিনীপুর মেডিক্যালে আবার কখনও বেসরকারি হাসপাতালে। সে সময় কোথাও যদি লোডশেডিং হত! আশঙ্কায় ছিলেন বিদ্যুৎ দফতরের কর্তারা। তাই সার্কিট হাউসে যখন বিদ্যুতের একটা সোর্স বসে গেল তখন ঘেমে নেয়ে একশা হচ্ছিলেন তাঁরা।

প্রশাসন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে মেদিনীপুরে থাকার কথা ছিল না মুখ্যমন্ত্রীর। তাই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও সারেনি বিদ্যুৎ দফতর। খড়্গপুরের একটি হোটেলে থাকার কথা ছিল মমতার। বিকেলে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। পরে সেখান থেকে মেদিনীপুরে ফেরেন। ঠিক হয়, মুখ্যমন্ত্রী মেদিনীপুর সার্কিট হাউসেই থাকবেন। এই খবর পৌঁছনোর পরই হুলস্থুল পড়ে দফতরে। রাতে বিপদ বাড়ে বজ্রপাতে। বসে যায় সার্কিট হাউসের একটি সোর্স। মেদিনীপুরের এক বিদ্যুত্কর্তার স্বীকারোক্তি, “কিছু এলাকায় সামান্য কিছুক্ষণ লোডশেডিং হয়েছে। আসলে মুখ্যমন্ত্রী শহরে ছিলেন। তাই ফিডারগুলো ওভারলোড মুক্ত করা হচ্ছিল। সার্কিট হাউস এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট হলে তো অস্বস্তির শেষ থাকত না।”

Electricity Department Mamata Banerjee Midnapur
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy