সোমবার রাতে ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগের ১২টি হাতির ১টি দল মাঠা রেঞ্জ এলাকায় ঢোকে। —নিজস্ব চিত্র।
হাতির হানা থেকে ফসল বাঁচাতে প্রখর গ্রীষ্মেও গাছের উপরে মাচা করে পাহারা দিতে হচ্ছে গ্রামের কৃষকদের। তা সত্ত্বেও তাদের দাপটে নষ্ট হচ্ছে ফসল। ঝাড়খণ্ডের হাতির হানায় রীতিমতো ত্রস্ত পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়তলির দুই বনাঞ্চলের একাধিক গ্রাম।
পুরুলিয়া বন বিভাগ সূত্রে খবর, সোমবার রাতে ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগের ১২টি হাতির ১টি দল মাঠা রেঞ্জ এলাকায় ঢোকে। ওই দলে ২টি শাবক-সহ ১টি দাঁতাল রয়েছে। সোমবার রাতে ওই দলটি প্রথমে কুদনা বিট এলাকার কুদলুং এবং চিকনবাগান এলাকার প্রায় ১ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন সব্জি সাবাড় করে দেয়। হাতির হানায় অনেকটা ফসলও নষ্ট হয়। এর পর পাশের বাগমুন্ডি রেঞ্জের খটকাদি, বেলতার এবং কিতাদি গ্রাম সংলগ্ন এলাকাতেও প্রায় ১ হেক্টর সব্জি এবং বোরো ধান নষ্ট করে হাতির দলটি।
সারারাত ধরে দাপিয়ে বেড়ানোর পর মঙ্গলবার ভোরে হাতির দলটি অযোধ্যা পাহাড়ের সুক্রি ডভা এলাকায় গা ঢাকা দেয়। মঙ্গলবার মাথা রেঞ্জ আধিকারিক পল্লব পাল বলেন, “সোমবার রাতে ঝাড়খণ্ড থেকে ওই দলটি আমাদের রেঞ্জ এলাকায় ঢোকে। ফসল নষ্ট করার পর বাগমুন্ডি এলাকায় চলে যায়। আমরা ওই দলটির ওপর নজর রেখেছি।” বাগমুন্ডি রেঞ্জের আধিকারিক আলমগীর হক বলেন, “মাঠা এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া আমাদের রেঞ্জ এলাকাটিও হাতির হানায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন দফতরের হিসাব অনুযায়ী কৃষকরা ক্ষতিপূরণ পাবেন। হাতির হানার যাতে আরও গ্রীষ্মকালীন ফসল এবং বোরো ধান নষ্ট না হয়, সে জন্য আমরা সব রকম চেষ্টা করছি। চাষিরাও তাঁদের জমির পাশে গাছে মাচা বেঁধে রাতপাহারা শুরু করেছেন।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy