Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Firhad Hakim

শহরের বাজার এলাকায় টিকা দিতে ঘুরছে এসি বাস, কলকাতায় নতুন কর্মসূচির উদ্বোধন ফিরহাদের

ফিরহাদ বলেন, ‘‘পরিবহণমন্ত্রী হিসেবে আমি দেখলাম এখন অনেক বাস ব্যবহার করা হচ্ছে না। সেই বাসগুলিকে টিকাকেন্দ্র হিসেবে গড়ার চিন্তা ভাবনা শুরু করেছিলাম। তাই এই কর্মসূচি।’’

‘ভ্যাকসিনেশন অন হুইল’ কর্মসূচি চালু হল কলকাতায়।

‘ভ্যাকসিনেশন অন হুইল’ কর্মসূচি চালু হল কলকাতায়। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২১ ১৯:১৮
Share: Save:

আগেই দিন ক্ষণ ঠিক করা হয়েছিল। সেই মতো বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরসভার ভ্রাম্যমাণ টিকাকরণ কর্মসূচি চালু হল। ওই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভ্যাকসিনেশন অন হুইল’। বৃহস্পতিবার পোস্তা বাজারে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পুরসভার প্রধান প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। উপস্থিত ছিলেন পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য অতীন ঘোষ এবং‌ রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা।

শহরের বড় বড় বাজার বিশেষ করে অতিসংক্রামক এলাকাগুলিতে গত মঙ্গলবার টিকাকরণের উদ্যোগ নিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। সেই লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার ‘ভ্যাকসিনেশন অন হুইল’ও চালু হল। ওই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে ব্যাটারিচালিত একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস কলকাতার বড় বড় বাজারগুলিতে ঘুরবে। সেই মতো বৃহস্পতিবার পোস্তা বাজারে ওই বাস যায়। টিকা নিতে আসা ব্যক্তিদের প্রথমে কো-উইন অ্যাপে নাম নথিভুক্ত করতে হচ্ছে। তার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে টিকা দেওয়া হচ্ছে এবং ওই বাসের মধ্যে পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার পোস্তা এলাকার শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা টিকা নেন। টিকাকরণ কর্মসূচিকে ত্বরাণ্বিত করতে প্রথম দিনেই এই কর্মসূচিতে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে।

এই কর্মসূচির সূচনা প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, ‘‘পোস্তার মতো কলকাতার অনেক এলাকাই রয়েছে যেখানে দোকানদাররা টিকা নিতে পারেননি। অনেকে দোকান ছেড়ে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা নেওয়ার সময় পাননি। তাঁদের কথা ভেবে এই কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। বলতে পারেন, তাঁদের বাড়ির সামনে টিকা নিয়ে এলাম।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পরিবহণমন্ত্রী হিসাবে আমি জানি, কোভিড পরিস্থিতিতে এখন অনেক বাস ব্যবহার করা হচ্ছে না। তাই সেই বাসগুলিতে টিকাকেন্দ্র হিসেবে গড়ার চিন্তাভাবনা করি। তারই ফলশ্রুতি হিসেবে এই কর্মসূচি।’’ আপাতত একটি বাসে এই টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ২ দিনের মধ্যে আরও একটি বাস টিকার কাজে ব্যবহার করা হবে বলে পুরসভা সূত্রে জানা যাচ্ছে।

অন্য দিকে, টিকার জোগান কম থাকার জন্য এই কর্মসূচিতে কিছুটা প্রভাব পড়বে মনে করছেন উদ্যোক্তারা। এ প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে যে পরিমাণ টিকা চাওয়া হয়েছিল তা পাওয়া যায়নি। বুধবার রাতে অল্প কিছু সংখ্যক পৌঁছেছে। রাজ্য সরকারের সহায়তায় বাকি টিকা জোগাড় করা গিয়েছে। সেগুলো নিয়েই এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। টিকা সরবরাহ বাড়লে আরও বেশি করে মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE