Advertisement
E-Paper

ও-পাড়ে অনুশাসন, এ-পাড়ে অনিয়ম  

মৎস্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ইলিশ বাঁচাতে পড়শি বাংলাদেশ মরিয়া হলেও এ বাংলায় শুধু নির্দেশনামার বোর্ড বা ফ্লেক্স ঝুলিয়েই দায় সেরেছে প্রশাসন।

সুজাউদ্দিন বিশ্বাস

শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০১৯ ০৪:৪৩
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

হেমন্তের শুরুতে পদ্মা ইলিশের ঝাঁকে টইটুম্বুর। অথচ ইলিশ ধরার ব্যাপারে ও পাড়ে রাঙা চোখের অনুশাসন, তো এ পাড়ে ছাড়পত্র!

মৎস্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ইলিশ বাঁচাতে পড়শি বাংলাদেশ মরিয়া হলেও এ বাংলায় শুধু নির্দেশনামার বোর্ড বা ফ্লেক্স ঝুলিয়েই দায় সেরেছে প্রশাসন। বিএসএফ-বিজিবি’র সাম্প্রতিক ঠোকাঠুকির জেরে পদ্মায় ইলিশ ধরার ব্যাপারে সামান্য কড়াকড়ি শুরু হলেও পদ্মার শাখা নদীগুলিতে ইলিশের মরসুমে নির্বিচারে ধরা হয় ইলিশের পোনা। আর এর ফলেই ক্রমশ পদ্মা এবং তার শাখা নদী থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে ইলিশ। নিষিদ্ধ জালের ব্যবহারেও কার্পণ্য নেই! পদ্মা এবং তার আশপাশের নদীগুলিতে ‘কারেন্ট’ কিংবা ‘কাপড়া’ জালের দেদার ব্যবহারে হারিয়ে যাচ্ছে অন্য মাছও।

মৎস্য বিশেষজ্ঞ সূর্য্যেন্দু দে বলছেন, ‘‘ইলিশ ধরার ব্যাপারে বাংলাদেশ যতটা সচেতন, তার ছিঁটেফোঁটাও আমাদের মধ্যে নেই।’’ সে কথা কার্যত মেনে নিচ্ছেন, মৎস্য দফতরের উপ-অধিকর্তা অমলেন্দু বর্মনও। অক্টোবর মাসের ১০ তারিখ থেকে ৩১ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশে ইলিশ ধরা বারণ। এই সময়ে দেশের বিভিন্ন নদ-নদীতে জোর তল্লাশি চালায় সেখানকার মৎস্য দফতর। নিষিদ্ধ জালের ব্যবহার দেখলেই তা পুড়িয়ে দেয়, মাছ ধরার ব্যাপারে বেআইনি কাজ দেখলে গ্রেফতারের অসংখ্য নজির। অথচ এ দেশে পদ্মা বা তার শাখা নদীর পাড়ে দাঁড়ালেই দেখা গিয়েছে নির্বিচারে চলেছে ছোট ইলিশ ধরা। অমলেন্দুবাবু বলছেন, ‘‘আমরাও ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত পদ্মায় মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছিলাম। অভিযান চালিয়েছি বিভিন্ন নদীর ঘাট থেকে পাইকারি বাজারে। কিন্তু সচেতনতাই আসেনি এখানকার ধীবরদের। অথচ কথাটা বুঝলে ওঁরাই উপকৃত হতেন।’’

West Bengal Bangladesh Hilsa BGB
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy