Advertisement
E-Paper

ভুয়ো নথিতে টিভি হাতিয়ে ধৃত

বিক্রেতা সংস্থার বিশ্বাস অর্জনের জন্য প্রথমে ঠিকঠাক নথিপত্র দিয়েই সঙ্গীকে টিভি কিনিয়ে দিয়েছিল একটি প্রতারণা চক্রের পান্ডা। সেটা যে টোপ, আন্তর্জাতিক টিভি সংস্থা তা বুঝতেই পারেনি। তাদের টনক নড়ে অন্য পাঁচ ক্রেতাকে ইএমআই অর্থাৎ মাসিক কিস্তিতে টাকা মেটানোর শর্তে টিভি বেচে টাকা না-পাওয়ার পরে!

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০১৬ ০৩:০৭

বিক্রেতা সংস্থার বিশ্বাস অর্জনের জন্য প্রথমে ঠিকঠাক নথিপত্র দিয়েই সঙ্গীকে টিভি কিনিয়ে দিয়েছিল একটি প্রতারণা চক্রের পান্ডা। সেটা যে টোপ, আন্তর্জাতিক টিভি সংস্থা তা বুঝতেই পারেনি। তাদের টনক নড়ে অন্য পাঁচ ক্রেতাকে ইএমআই অর্থাৎ মাসিক কিস্তিতে টাকা মেটানোর শর্তে টিভি বেচে টাকা না-পাওয়ার পরে!

ওই চক্রের চাঁই আবার পাঁচ-পাঁচ জন ক্রেতাকে নিয়ে হাজির হওয়ায় খুশি হয়েছিল বিক্রেতা সংস্থা। সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্র, প্যান কার্ড এবং মাসিক বেতনের চিরকুট (পে-স্লিপ) জমা নিয়ে মাসিক কিস্তিতে টাকা মেটানোর শর্তে পাঁচ ক্রেতাকে টিভি বিক্রি করেছিল ওই সংস্থা। নিয়ম অনুযায়ী এক মাস পরে সংস্থার অ্যাকাউন্টে ইএমআইয়ের নির্ধারিত টাকা জমা পড়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু টাকা জমা না-পড়ায় সন্দেহ হয় সংস্থা-কর্তৃপক্ষের। পরপর দু’মাস একই ঘটনা ঘটায় তাঁরা ওই ক্রেতাদের জমা দেওয়া ভোটার পরিচয়পত্র, প্যান কার্ড এবং বেতনের স্লিপ যাচাই করেন। দেখা যায়, সবই ভুয়ো। তার পরেই কর্তৃপক্ষ আলিপুর থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ মহেশতলা এবং বজবজ থেকে চক্রের পান্ডা-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের হেফাজতে মিলেছে প্রচুর ভুয়ো ভোটার পরিচয়পত্র, প্যান কার্ড এবং বেতনের স্লিপ।

পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম শান্তনু, অমিত পণ্ডিত, শুভঙ্কর মণ্ডল, মান্টি এবং সইদুল শেখ ওরফে সৌগত। শান্তনুই চক্রের পাণ্ডা বলে পুলিশের দাবি। ধৃত পাঁচ জনকে বুধবার আদালতে তোলা হয়। পাঁচ জনকেই ৩০ মে পর্যন্ত পুলিশি হাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।

অত বড় সংস্থার ভুল হল কেন?

পুলিশি সূত্রের খবর, গত জুনে দু’জনকে নিয়ে শান্তনু ওই সংস্থার শো-রুমে যায়। তার দুই সঙ্গী যথাযথ পরিচয়পত্র জমা দিয়ে কয়েক লক্ষ টাকার টিভি কেনেন মাসে মাসে টাকা মেটানোর শর্তে। তদন্তকারীরা জানান, ওই দু’জন নিয়মিত ইএমআই দিয়ে দেন। তার পরে, চলতি বছরের গোড়ায় ফের পাঁচ ক্রেতাকে নিয়ে ওই শো-রুমে যায় শান্তনু। পূর্ব পরিচয়ের সুযোগে কর্তৃপক্ষকে বলে তাদেরও ইএমআইয়ে টিভি কিনিয়ে দেয়। শান্তনুর সঙ্গে কর্তৃপক্ষের আলাপ থাকায় সংস্থার কর্মীরা ওই পাঁচ ক্রেতার ভোটার পরিচয়পত্র, প্যান কার্ড বা পে-স্লিপ যাচাই না-করে টিভি দিয়ে দেন। এক মাস পরে টাকা জমা না-পড়ায় খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ভুয়ো নথিতে টিভি হাতিয়েছে শান্তনুরা।

TV stolen
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy