মুর্শিদাবাদের উদ্দেশে রওনা দিয়ে দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শুক্রবার সকালে শিয়ালদহ থেকে ট্রেনে রওনা দিয়েছেন তিনি। প্রথমে যাবেন মালদহে। অন্য দিকে, মালদহে ঘর ছাড়াদের ক্যাম্পে শুক্রবার পৌঁছলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চার সদস্য। এলাকা ঘুরে দেখে তাঁরা সেখানকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলছেন। পৌঁছেছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের তিন সদস্যও।
রাজভবন সূত্রে খবর, শুক্রবার মালদহেই রাত্রিবাসের পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যপালের। শনিবার সেখান থেকে মুর্শিদাবাদের উপদ্রুত এলাকাগুলিতে যাবেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর কিছু দিন অপেক্ষা করে যেতে বলেছিলেন রাজ্যপালকে। এই মুহূর্তে মুর্শিদাবাদে না-যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই অনুরোধে সাড়া দিলেন না বোস।
বৃহস্পতিবার আনন্দবাজার ডট কমের প্রতিবেদনে লেখা হয়েছিল, রাতেই মুর্শিদাবাদের উদ্দেশে রওনা দেবেন রাজ্যপাল। কিন্তু তিনি রাতে যাননি। শুক্রবার সকাল ৯টা নাগাদ শিয়ালদহ থেকে রাজ্যপালের ট্রেন ছেড়েছে। মালদহে পৌঁছে সেখানকার সার্কিট হাউসে উঠবেন তিনি। শনিবার সকালে মুর্শিদাবাদে যাবেন। শমসেরগঞ্জ, ধুলিয়ান, সুতি কিংবা ফরাক্কার মতো এলাকাগুলি পরিদর্শন করতে পারেন রাজ্যপাল। সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুর্শিদাবাদের এই অঞ্চলগুলিতেই অশান্তি ছড়িয়েছিল। অশান্তিতে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যপালের। রাজভবন সূত্রে খবর, শনিবার রাতেই কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিতে পারেন বোস।
আরও পড়ুন:
মুর্শিদাবাদের অশান্তিতে যাঁরা ঘরছাড়া হয়েছেন বলে অভিযোগ, তাঁদের একাংশকে নিয়ে বৃহস্পতিবার রাজভবনে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ অন্যেরা। রাজ্যপালের কাছে তাঁরা পাঁচ দফা দাবি পেশ করেন। শমসেরগঞ্জ এবং ধুলিয়ানে গিয়ে পরিস্থিতি দেখার অনুরোধ করেন। সুকান্তের দাবি, সেই অনুরোধে সাড়া দিয়েই বোস মুর্শিদাবাদ সফরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু এই সফরের কথা জানতে পেরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেছিলেন, ‘‘আমি রিকোয়েস্ট করব, বাইরে থেকে এখন কেউ যাবেন না। আমিও তো যেতে পারতাম। যাইনি। আমি গেলে অন্যেরাও যেতে চাইবেন। আমাদের (রাজ্য) মহিলা কমিশনের টিমও যেতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি বলেছি, এখনই যেতে হবে না।’’ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছিলেন, ‘‘ওখানে শান্তির বাতাবরণ ফিরে এসেছে। এখন কাজ কনফিডেন্স বিল্ডিং (আস্থা তৈরি করা)। সেই কাজ চলছে।’’ তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তিনি মুর্শিদাবাদে যাবেন বলেও জানিয়েছেন মমতা। কিন্তু তাঁর অনুরোধ না রেখেই শুক্রবার রওনা হলেন রাজ্যপাল।