রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। —ফাইল চিত্র।
উত্তরবঙ্গ সফরে আসছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সূত্রের দাবি, শিলিগুড়ি এসে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে বৈঠকে বসার সম্ভাবনা রয়েছে তাঁর।
উচ্চ শিক্ষা দফতর তথা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া, রাজ্যপাল তথা আচার্য যে সব অস্থায়ী উপাচার্যকে বেছেছিলেন, তাঁদের তিনি ডেকেছেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। সব ঠিক থাকলে, ২৮ জুন সেখানে রাজ্যপাল এই উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। শনিবার আচার্যের দফতর থেকে সে খবর পৌঁছতেই জরুরি বৈঠক ডাকা হয় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সঞ্চারী রায় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আচার্যের দফতর থেকে আমাদের জানানো হয়েছে। আমরা দেখছি।’’
প্রশাসন সূত্রে খবর, কাল, সোমবার দার্জিলিঙে আসার কথা রাজ্যপালের। মঙ্গলবার পর্যন্ত পাহাড়ের রাজভবনে থাকার কথা। বুধবার বেলা ১০টায় তিনি উপাচার্যদের নিয়ে বৈঠক করতে পারেন। ১৩ জন উপাচার্যকে ডাকা হচ্ছে। এর আগে, এই উপাচার্যদের ডেকে ‘ক্যালকাটা কমিটমেন্ট’ শীর্ষক শপথবাক্য পাঠ করিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সূত্রের খবর, তারই পরবর্তী পর্যায়ে ওই বৈঠক। মোট ১৪ জন উপাচার্যকে একক সিদ্ধান্তে বেছেছিলেন রাজ্যপাল। তাঁদের মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যাঁকে বেছেছিলেন, তিনি দায়িত্ব নেননি। ওই উপাচার্যদের বেতন ও ভাতা রাজ্য সরকার দেবে না বলে উচ্চ শিক্ষা দফতর থেকে জানানো হয়।
অস্থায়ী উপাচার্যেরা রাজভবন থেকে নিয়োগের চিঠি পাওয়ার পরে, তাঁরা যে দায়িত্ব গ্রহণে রাজি, সে সংক্রান্ত চিঠি রাজভবনে পাঠান। রাজভবন থেকেও সে বিষয়ে সম্মতিপত্র উপাচার্যদের পাঠানো শুরু হয়েছিল। কিন্তু এরই মধ্যে দ্বিতীয় দফায় ১৩ জন অস্থায়ী উপাচার্যকে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা না করে নিয়োগ করার বিষয়ে মামলা হয়। এই পরিস্থিতিতে অধিকাংশকে এখনও সে সম্মতিপত্র রাজভবন থেকে দেওয়া হয়নি।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, আচার্যের নির্দেশ মতো ওই বৈঠক করতে উপাচার্যেরা এলে, তাঁদের থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করতে হবে। তা কী ভাবে হবে, তা নিয়ে এ দিনের বৈঠকে এক প্রস্ত আলোচনা হয়েছে। তবে রাজ্য এবং রাজ্যপালের মধ্যে সঙ্ঘাতের আবহে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এই বৈঠক আলাদা মাত্রা পেতে চলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy