জিৎ হালদারের মৃত্যু ঘিরে ক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র
কিশোরীর প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হল একাদশ শ্রেণির ছাত্র। ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়াল হুগলির চুঁচুড়ার নবাববাগান এলাকায়। চুঁচুড়ায় কদমতলায় বাড়ি ওই কিশোরীর। সেখানে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগও উঠেছে। পরে চুঁচুড়া থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম জিৎ হালদার (১৭)। হুগলি কলিজিয়েট স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন তিনি। ছাত্রের পরিবারের দাবি, কদমতলার বাসিন্দা জিতের সহপাঠী এক ছাত্রীর সঙ্গে বছর দুয়েক ধরে সম্পর্ক ছিল। গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে গিয়ে দু’জনের সম্পর্ক তৈরি হয় বলে জিতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, এ বছর সরস্বতী পুজোর সময় প্রেমিকাকে আর এক তরুণের সঙ্গে ঘুরতে দেখে ফেলে জিৎ। তাঁর দিদি ঈশানী হালদারের অভিযোগ, ‘‘অন্য একটি ছেলের সঙ্গে রয়েছে এমন একটা ছবি মেয়েটি আমার ভাইয়ের মোবাইলে পাঠায়। বলে, ‘তোর থেকে ভাল ছেলে পেয়েছি।’ এর পর আমার ভাই আত্মহত্যা করে। ওই মেয়েটি আমার ভাইকে নানা ভাবে মানসিক ভাবে অত্যাচার করত। ফেসবুকেও নানা মন্তব্য করেছে। আমার ভাই বাবার সঙ্গে শুত। গতকাল রাতে ও ঘর থেকে বার হয়ে বাইরে থেকে দরজা আটকে দিয়েছিল। এর পর বাবা সকালে উঠে দরজা খুলতে না পেরে জানালা খুলে দেখতে পায় বারান্দায় ভাই ঝুলছে।’’
কিশোরীর বাবার বক্তব্য, ‘‘আমার মেয়ের সঙ্গে বন্ধুন্ত ছিল বলছে। তবে আমি জানতাম না। আজ হঠাৎ আমার বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর করে। পরিবারের লোক জনকে মারধর করা হয়। এখনকার ছেলেমেয়েরা কোথায় কী করছে সেটা জানা যায় না।’’ ছাত্রীর মায়ের দাবি, ‘‘মেয়ের না কি একটি ছেলের সঙ্গে প্রেম ছিল! এক দল ছেলেমেয়ে যদি আড্ডা দেয়— সেটা কী করে ‘প্রেম’ হয়ে গেল জানি না। এখন তো ছেলেমেয়েদের বন্ধুবান্ধব থাকে।’’
পুলিশ ওই ছাত্রের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ওই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্তও শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy