E-Paper

নেশামুক্তি কেন্দ্রে ভর্তির পরেই মৃত্যু যুবকের, মারধরের অভিযোগ

বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার দাশনগর থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে, একটি বেসরকারি নেশামুক্তি কেন্দ্রে। মৃতের নাম শুভজিৎ ঘরামি। বাউড়িয়ার বাসিন্দা ওই যুবক দীর্ঘ দিন ধরেই নেশাগ্রস্ত।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২৩ ০৫:১৮
Representational Image of dead dody

—প্রতীকী চিত্র।

পরিজনেরা একত্রিশ বছরের এক যুবককে নেশামুক্তি কেন্দ্রে নিয়ে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেখানে রেখে যাওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের। কী কারণে এই মৃত্যু, তা জানতে নেশামুক্তি কেন্দ্রের চার জনকে আটক করেছে পুলিশ। পরিজনদের অভিযোগ, এলোপাথাড়ি মারধরের কারণেই মারা গিয়েছেন ওই যুবক।

বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার দাশনগর থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে, একটি বেসরকারি নেশামুক্তি কেন্দ্রে। মৃতের নাম শুভজিৎ ঘরামি (৩১)। বাউড়িয়ার বাসিন্দা ওই যুবক দীর্ঘ দিন ধরেই নেশাগ্রস্ত। পরিজনেরা জানাচ্ছেন, কোনও ভাবেই নেশা ছাড়াতে না পারায় তাঁকে ওই কেন্দ্রে ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেই মতো মঙ্গলবার রাত ৮টা নাগাদ ওই যুবককে নিয়ে আসা হয় দাশনগরে। শুভজিতের এক আত্মীয় বলেন, ‘‘ওকে এনে ভর্তি করে আমরা উলুবেড়িয়া ফিরে গিয়েছিলাম। ভোরে এমন খারাপ খবর পাব, আশা করতে পারিনি।"

সূত্রের খবর, প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, নেশামুক্তি কেন্দ্রে আসার পরে চিৎকার-চেঁচামেচি জুড়ে দিয়েছিলেন শুভজিৎ। তাঁকে শান্ত করতে একটি ওষুধ দেওয়া হয়েছিল। সেটি খাওয়ার কিছু ক্ষণ পরেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের। তাঁর বন্ধু রাকেশ মান্না বলেন, ‘‘ভোরবেলা নেশামুক্তি কেন্দ্র থেকে ফোন করে জানানো হল, হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে শুভজিতের। তা শুনে আমরাও খুব অবাক হয়েছিলাম।’’ রাকেশদের অভিযোগ, তাঁরা জানতে পেরেছেন, নেশামুক্তি কেন্দ্রের অন্য আবাসিকেরা মিলে বেধড়ক মারধর করেছিলেন শুভজিৎকে। তাতেই তিনি জ্ঞান হারান। দীর্ঘক্ষণ ওই ভাবে পড়ে থাকেন। তার পরে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা জানান, বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই কেন্দ্রের চার জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ। তিনি বলেন, ‘‘ময়না তদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ বোঝা যাবে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত করা হচ্ছে।’’ রাত পর্যন্ত যুবকের পরিবার কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি বলেই খবর।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Death Rehabilitation Center Mysterious death

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy